ভুলনীতি-দুর্নীতির কারণে জ্বালানি জ্বরে ভুগছে দেশ : নাগরিক সমাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্বালানি তেল
জ্বালানি তেল। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জ্বালানি খাতের দুই-চারজন ব্যক্তির ভুলনীতি ও দুর্নীতির কারণে দেশের জনগণ জ্বালানি জ্বরে ভুগছে।

শনিবার (৬ আগস্ট) জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শুক্রবার রাতে ইতিহাস ভঙ্গ করে ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল আর অকটেনের যে মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে, এর খেসারত পুরো জাতিকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

তিনি আরও বলেন, অকটেন ও পেট্রল দীর্ঘদিন যাবত আমদানি না করে গ্যাস ও ডিজেল রিফাইন কনডেন্সার থেকে এ দুটি জ্বালানি উৎপাদন করা হয়। এ দুটি জ্বালানির পর্যাপ্ত মজুদ আমাদের রয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে দেশে উৎপাদিত এই দুটি জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।

‘অন্যদিকে, বিদ্যুতের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি না রেখেই বেসরকারি খাতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ পাওয়ার ও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা সুবিধা দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে। আর এর জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি উপদেষ্টাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার এসব সিন্ডিকেট বাণিজ্যের জন্য দায়ী বলে আমরা মনে করি। তাদের ভুলনীতি ও দুর্নীতির দায়ভার দেশের জনসাধারণ নিতে পারে না।’

‘সরকারের কাছে আমাদের দাবি- খুব দ্রুত বর্তমান যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করে যুক্তিসঙ্গত মূল্য ঠিক করে জনগণকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আজ সড়কে ডিজেলচালিত গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেল চলাচল কমে গেছে।’

‘হয়তো দুই-একদিনের মধ্যেই গণপরিবনের ভাড়াও বেড়ে যাবে, যা সাধারণ নাগরিকদের সামর্থ্যের বাইরে চলে যাবে। পণ্য পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পেলে, বেড়ে যাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এর ফলে দেশে দেখা দিতে পারে চরম নৈরাজ্য ও দুর্ভিক্ষ।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় রাখতে ও জীবনযাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আপনার প্রতি অনুরোধ- বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করুন।

শেয়ার করুন