কাজীপাড়া দরগাহ্ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌরসভার অন্তর্গত কাজীপাড়া দরগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছয় তলা ভিত বিশিষ্ট তৃতীয় ও চতুর্থ তলা নতুন ভবনের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার (৬ আগস্ট) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

universel cardiac hospital

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়ামিন হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, শিক্ষা ব্যতীত মানুষ উন্নতি লাভ করতে পারে না, আর তাই বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামগত উন্নয়ন ও মান-সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এর ধারাবাহিকতায় যে সকল গ্রামে বিদ্যালয় নেই সেখানে নতুন বিদ্যালয় গড়ে তুলছে। জরাজীর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন করে অবকাঠামোগত উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে বই ও উপবৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে সরকার শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করছে।

তিনি বলেন, আমৃত্যু মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই। আর সেই লক্ষ নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। কাজীপাড়া দরগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণে জন্য অনেক বড় বড় কর্তাব্যক্তিদের আমার রাজি করাতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, আমি এমপি হওয়ার পর আমার নির্বাচনী এলাকায় ১২টি সম্পূর্ণ নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে ৮টি ও বিজয়নগরে ৪টি)। এই সময়ে আমার সহযোগিতায় ১৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হয়েছে।

তিনি বলেন, এই মাসের ১৫ তারিখে কিছু তস্কর, দস্যু, বিশ্বাসঘাতক যারা বাঙালির ভালো দেখতে পারে না, যারা চায়নি বাঙালি পৃথিবীর বুকে মাথা উচু করে, পৃথিবীর অন্যান্য জাতির মানুষের সমান হয়ে চলতে পারে, সেই কুলাঙ্গারেরা বাঙালির শ্রেষ্ঠতম মানুষটিকে তাঁর প্রিয়তমা পত্নী ও সন্তানদেরসহ পরিবারের অনেককে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। আমি তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

মোকতাদির চৌধুরী আক্ষেপ করে বলেন, আমি কোনো স্কুল অথবা কলেজের কমিটির গঠনে হস্তক্ষেপ করি না। একথা কেউ আমার সামনে এসে বলতেও পারবেনা। কিন্তু ফেসবুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কিছু নব্য বুদ্ধিজীবীকে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে দেখি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ নতুন অনেক ভবন হয়েছে, এগুলো আমার স্ত্রী (প্রফেসর ফাহিমা খাতুন) মাউশির ডিজি থাকাকালীন করেছেন। তিনি ইতোমধ্যে সচিব পদমর্যাদা নিয়ে অবসরে গিয়েছেন। এখন তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষা নিয়ে কাজ করছেন, এটিও অনেকে পছন্দ করছেন না, কারণ তারা চায় না এই জনপদের মানুষ শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চায় এগিয়ে যাক।

তিনি বলেন, এই শহরে প্রতিদিন লুটপাট ও ছিনতাই হতো। আমি এই শহরকে ছিনতাই, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত করেছি। কিন্তু কয়েকজন ফেসবুক বুদ্ধিজীবী স্ট্যাটাস দেন, আমি নাকি ছিনতাইকারিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেই! কিন্তু তারা জানে না যে, আমি যদি ঐ ফেসবুক বুদ্ধিজীবীদের আগলে না রাখি, তাহলে তারা ছিনতাইকারীদের জন্য রাস্তায় বের হতে পারবে না।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, যারা মাদক সেবন করছেন, কিংবা মাদকের ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত আছেন, তাদেরকে বলব- আপনার এই পথ পরিহার করে সুস্থ জীবনধারায় ফিরে আসুন। এলাকার কাউন্সিলর ও মুরব্বিদের বলব, আপনারা আপনাদের সন্তানদের মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এতে আমি আপনাদেরকে সবধরনের সহযোগিতা করব।

শেয়ার করুন