জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সুফল ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

টিপু মুনশি

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাময়িক সমস্যা হলেও ভবিষ্যতে এর সুফল পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আজ রোববার রাজধানীর মতিঝিলের এফবিসিসিআই ভবনে সংস্থাটির আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতি ও বাণিজ্য ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, জ্বালানির তেলের দাম বেড়েছে, এতে সাময়িক সমস্যা হবে এটা প্রধানমন্ত্রী জানেন। কিন্তু ভবিষ্যতে এটার সুফল পাওয়া যাবে। সুদূরপ্রসারী একটা ভালো অবস্থানে যাওয়ার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা কখনোই কোনো কাজ করেন না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে দেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সামনে নির্বাচন, নির্বাচন এলেই অনেকে অনেক কথা বলবে। যারা ভালো দেখতে পারে না, তারা কখনোই দেখতে পারে না। তাই তাদের কথা শুনে অস্থির হবেন না, অস্থির হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের পর বঞ্চনা থেকে বেরিয়ে আসতে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ ঘটিয়েছিলেন। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুটি ধারায় তিনি সমানভাবে এগিয়ে গেছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাব রিজার্ভে পড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা নেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে রিজার্ভ স্থিতিশীল হয়ে যাবে। এখন আমাদের খুব সতর্ক হতে হবে। সামনে নির্বাচন, এই সময়ে ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং আমাদের নিজেদের স্বার্থে শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচিত করতে হবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক বঞ্চনার বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তুলেই রাজনৈতিক মুক্তিসংগ্রামকে বেগবান করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর গণমুখী অর্থনৈতিক সংবেদনশীলতা থেকে আসা ৬ দফাই গড়ে দেয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ। যুদ্ধের পর কৃষি ও শিল্পকে সমান গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ক্ষেত্রে দুর্নীতিকে বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। কীভাবে সংকট মোকাবিলা করতে হয়, তার পথ দেখিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এম মাহফুজুর রহমান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রিজওয়ান রহমান, এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি নিহাদ কবির, এফবিসিসিআইয়ের প্যানেল উপদেষ্টা ড. মোস্তফা আবিদ খান প্রমুখ।

শেয়ার করুন