সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ২০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোজ্যতেল

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ২০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে মিলমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এ বিষয়ে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

রোববার (৭ আগস্ট) গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সুবিধা নিয়ে যাতে ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য ভোক্তা অধিকারকে অভিযানের নির্দেশ দেয়া হবে।

এদিকে এফবিসিসিআই এর সেমিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় নিঃসন্দেহে জনগণের কষ্ট বেড়েছে, তবে এটা সাময়িক। ভবিষ্যতের স্বস্তির জন্য দাম বাড়ানো জরুরি ছিল।

তিনি আরও বলেন, যারা সমালোচনাকারী তারা সবকিছুতেই আমাদের ভুল দেখে, সমালোচনা নিয়ে চিন্তিত নই।

এর আগে ৩ আগস্ট বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ২০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় মিলমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এতে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৮০ টাকা, এক লিটারের বোতল ২০৫ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৯৬০ টাকা করার কথা বলা হয়।

এ বছর বোতলজাত সয়াবিন তেল সর্বোচ্চ লিটারে ২০৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সম্প্রতি ভোজ্যতেলটির দাম দুই দফায় ২০ টাকা কমিয়েছে তেল কোম্পানিগুলো। এর মধ্যে সর্বশেষ গত ২১ জুলাই লিটারপ্রতি দর ১৪ টাকা কমানো হয়।

বর্তমানে ১ লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৬৬ টাকা এবং ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮৫ টাকা। ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯১০ টাকা। এছাড়া পাম তেলের দাম ১৪৮ টাকা।

ট্যারিফ কমিশনের তথ্য বলেছে, দেশে বছরে প্রায় ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৮ লাখ টনই আমদানি করা হয়।

শেয়ার করুন