বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পাশাপাশি ভাঙ্গলেন বিজেপির সঙ্গে জোট। খবর আনন্দবাজারের।
বিভিন্ন ইস্যুতে গত কয়েক মাস ধরেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। রাজনৈতিক সংকটের শুরু তখন থেকেই। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকেও যোগ দেননি তিনি। পর্যায়ক্রমে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে নীতীশের।
মূলত বিজেপির সঙ্গে নীতীশ-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আরসিপি সিংকে নিয়েই তার দূরত্ব বাড়ে। নীতীশের বারণ সত্ত্বেও তাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করে বিজেপি।
সাম্প্রতিক ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে এনডিএ জোটের ফাটল নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। সংশয় দেখা দেয় দ্বিতীয়বারের মতো নীতীশের এনডিএ ছেড়ে যাওয়া নিয়ে। সেই জল্পনাই সত্যি হল। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে নিয়েছেন নীতীশ কুমার।
পরবর্তীতে বিকেলেই রাজভবনে গিয়ে মুখমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন নীতীশ। সেইসঙ্গে তিনি জানালেন, জেডিইউ সাংসদ, বিধায়করা এনডিএ-সঙ্গ ছাড়তে চেয়েছিলেন।
রাজভবনে ইস্তফা দিয়ে লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়িতে যান নীতীশ। সেখানে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী ও তেজস্বী যাদবের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
রাজভবনে ইস্তফা দিয়ে বেরিয়ে নীতীশ কুমার বলেন, ‘দলের সব সাংসদ এবং বিধায়করা এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত।’
সংকটের মধ্যে বিহারে রাষ্ট্রপতি শাসন চাইলেন চিরাগ পাসোয়ান। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে রামবিলাস পাসোয়নের ছেলে চ্যালেঞ্জ জানালেন নীতীশকে।
তিনি বলেন, ‘এককভাবে বিধানসভায় জিতে আসুন।’
বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগেও বার বার নীতীশের দিকে আঙুল তুলেছিলেন চিরাগ। নীতীশের সঙ্গে বিবাদের জেরেই বিধানসভা ভোটের আগে বিহারে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন চিরাগ।