ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে বিএনপি সেদিন (৩১ আগস্ট) তাণ্ডব চালিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ। বলেন, ‘সেদিনের সমাবেশে অহেতুক ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপি।’
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পরিষদ হল রুমে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, ‘তারা (বিএনপি) সমাবেশে করেছে, এটি ভালো, সব দলই সমাবেশ করতে পারে। কিন্তু সমাবেশে তারা পুলিশের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছিল।’
আওয়ামী লীগ প্রতিশোধ কিংবা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না জানিয়ে তোফায়েল বলেন, ‘বিএনপি যখনই সুযোগ পায় তখনই আমাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ একটানা ১৪ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। এ সময়ে বিএনপির ওপর কোনো নির্যাতন করা হয়নি। অথচ ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতা হস্তান্তরের পর বিএনপি আমাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল। অনেকের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, অনেকে বাড়িতেই থাকতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি কথায় কথায় বলে, আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নেই। অথচ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্যে ও প্রেস ব্রিফ্রিং করে বিএনপি দলটিকে টিকিয়ে রেখেছেন।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা দোস্ত মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব। এছাড়া আরো বক্তব্য দেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজিজুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিবুল্লাহ নাজু, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলী নেওয়াজ পলাশ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম, শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফারুক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. আবু সায়েম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলায় বিএনপির প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিমের মৃত্যু হয়। এছাড়া ছয় পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন।