দেশে বর্তমানে ৩০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। আর ১৮ দিনের পেট্রল ও ৩২ দিনের জেট ফুয়েল রয়েছে। এছাড়া দেশে যে অকটেন মজুত রয়েছে, তা দিয়ে ১৮ থেকে ১৯ দিনে চাহিদা মেটানো সম্ভব।
এ তথ্য জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ।
বুধবার (১০ আগস্ট) জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। ক্রুডের কারণে পেট্রল ও অকটেনের দাম বাড়ে। তাই পেট্রল ও অকটেনের দাম কৌশলগত কারণে বাড়াতে হয়েছে।’
এর আগে গত ২৭ জুলাই বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ জানিয়েছিলেন, তাদের কাছে ৩২ দিনের ডিজেল ও ৯ দিনের অকটেন মজুত আছে। এছাড়া ছয়মাসের তেল আমদানি নিশ্চিত করা আছে।
ওইদিন তিনি বলেছিলেন, ‘দেশে চার লাখ ৩১ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন ডিজেল মজুত রয়েছে। অকটেন রয়েছে ১২ হাজার ২৩৮ মেট্রিক টন। ৩০ জুলাই দেশে পৌঁছাবে আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল।’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, পেট্রল পুরোটাই বাংলাদেশ উৎপাদন করে। আর অকটেনের চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ দেশে উৎপাদিত হয়। আগস্টে আটটি জাহাজে দুই লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল, একটি জাহাজে ২৫ হাজার মেট্রিক টন জেট-এ-১, একটি জাহাজে ২৫ হাজার মেট্রিক টন অকটেন আসার আগাম বার্তা দিয়েছিল মন্ত্রণালয়।
তেল আমদানিতে আগামী ছয়মাসের জন্য এলসি বা ৫০ শতাংশ জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে এবং বাকি ৫০ শতাংশ উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে অর্ডার করা আছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।