মাইলফলকের ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর চ্যালেঞ্জ টাইগারদের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ছবি : এএফপি

টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দুটো একপাশে রাখলে সম্প্রতি ওয়ানডেতে সাফল্যের গল্পটা বেশ বড় বাংলাদেশ দলের। জিম্বাবুয়ে সফরের আগে শেষ ৫ সিরিজের ৫টিই জয়, ৭টি সিরিজে জয় ৬টি। আইসিসি সুপার লিগের পয়েন্ট তালিকায়ও দাপট তামিম ইকবালদের দলের। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে টাইগাররা। অথচ উড়তে থাকা এই বাংলাদেশ দলই কি-না হোঁচট খেল ‘পুঁচকে’ জিম্বাবুয়ের কাছে।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দাপট দেখিয়ে জিতে ট্রফি নিজেদের দখলে রেখেছে স্বাগতিকরা। এতে প্রায় ৯ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজের শেষ ম্যাচটি তাই হয়ে পড়েছে নিয়মরক্ষার। যা মাঠে গড়াবে আজ বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৯.১৫টায়, বাংলাদেশ সময় দুপুর ১.১৫টায়।

universel cardiac hospital

তবে এটি শুধু নিয়মরক্ষার ম্যাচ হিসেবেই সীমাবদ্ধ রাখার উপায় নেই। সফরকারীদের জন্য ম্যাচটি মাইলফলকের। এই ম্যাচ দিয়ে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে ৪০০তম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলয়ে নামবে টাইগাররা। সেই মাইলফলক ছোঁয়া ম্যাচেই কি-না জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ধবলধোলাই এড়ানোর চ্যালেঞ্জ সফরকারীদের।

এই ম্যাচে নামার আগে দলের অবস্থান যে কোণঠাসা সেটি নির্দ্বিধায় স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড, ‘কঠিন শিক্ষা পাওয়ার পর যেমন হয়, দলের অবস্থা তেমনই। আমরা অনেক সুযোগ হাতছাড়া করেছি। কিছু ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কিছু বাজে সিদ্ধান্তও। আমরা এ নিয়ে কথা বলেছি। আমরা এই দলের ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য নিয়ে কথা বলেছি। সিরিজ হেরেছি, কিন্তু আত্মবিশ্বাস নেওয়ার জন্য জিততে হবে।’

ওয়ানডেতে দুই দল এযাবৎ মুখোমুখি হয়েছে ২০টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে। যেখানে ১২টি ট্রফি বাংলাদেশের, ৮টি জিম্বাবুয়ে। এবার জিম্বাবুয়ে ট্রফি ক্যাবিনেটে যোগ হলো আরো একটি মুকুট। সিরিজ হারের পর এবার হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ দলের। ২০০১ সালে দুই দফায় জিম্বাবুয়ের কাছে ধবলধোলাই হয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এরপর আর কখনোই তাদের বিপক্ষে এমন তেতো স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। বরং নিজেরা ৬বার এই স্বাদ দিয়েছে। এবার সেই ২১ বছর আগে ফিরে যাওয়ার শঙ্কা।

জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাংলাদেশ দলকে ভুগতে হচ্ছে তিন ফরম্যাটেই। শুরুটা টস দিয়ে। টস ভাগ্যটা একেবারেই সঙ্গে দিচ্ছে না সফরকারীদের। এরপর ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে যেখানে ওভারপ্রতি ৭ করে রান তোলার প্রয়োজন, সেখানে মন্থর ব্যাটিংয়ে ৬-এর আশেপাশেই থমকে যাচ্ছে তা। এজন্য অবশ্য কাঠগড়ায় ব্যাটসম্যানদের অতিরিক্ত ডট বল দেওয়ার প্রবণতা আর মিডল ওভারে রান তুলতে না পারার আক্ষেপ।

সঙ্গে শুরুতে বোলাররা ভালো করলেও প্রথম পাওয়ার প্লের পর ছন্দ হারাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজরা। গ্রাউন্ড ফিল্ডিং আর একাধিক সুযোগ মিসের মাশুল দিতে হচ্ছে ম্যাচ হেরে।

শেয়ার করুন