ডলার সংকট কাটাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন সহজে রেমিট্যান্স আনতে পারে এজন্য শর্ত শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজের সঙ্গে ড্রয়িং অ্যারেঞ্জমেন্ট স্থাপন বা প্রবাসী রেমিট্যান্স দেশে আনার চুক্তি করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বানুমতি নিতে হবে না; শুধু প্রয়োজনীয় তথ্য জানালেই হবে।
বুধবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে।
আগে ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০৭ সালের নীতিমালার আওতায় বিদেশ অবস্থিত এক্সচেঞ্জ হাউজের সঙ্গে ড্রয়িং অ্যারেঞ্জমেন্ট স্থাপনের অনুমোদন প্রদান করত। নতুন নীতিমালার ফলে ব্যাংকগুলো বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাস ও হাইকমিশনের পত্র এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই সেখানকার এক্সচেঞ্জ হাউজের সঙ্গে ড্রয়িং অ্যারেঞ্জমেন্ট স্থাপন করতে পারবে। সংশ্লিষ্টদের মতে ঘোষিত নীতিমালা প্রবাসী আয় প্রত্যাবাসনে সহায়তা করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
এদিকে দেশে ডলার সংকটে কমছে টাকার মান। আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে এখন ৯৫ টাকা রেটে ডলার বিক্রি করছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এই দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে। নিয়ম অনুযায়ী এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর। আজকে এ রেটে ১১৪ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি বছরের মে মাসের শুরুর দিকে এ দর ছিল ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা।
তবে বিভিন্ন ব্যাংক ও কার্ব মার্কেটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন ব্যাংকগুলো আমদানি বিলের জন্য নিচ্ছে ১০৬ থেকে ১০৮ টাকার উপরে, নগদ ডলার বিক্রি করছে ১০৯ থেকে ১১০ টাকায় আর ব্যাংকের বাহিরে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১৮ থেকে ১১৯ টাকায়।