রিভিউ আবেদন করেছে এমপিও না পাওয়া দুই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাউশি
মাউশি

যোগ্যতা থাকার পরও এমপিও না পাওয়ায় ২ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এসব আবেদন ধাপে ধাপে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এজন্য ২ হাজার ৭১৬টি প্রতিষ্ঠানের নতুন করে এমপিও ঘোষণা করা হলেও সেগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের এখনো সুবিধার আওতায় আনা যায়নি।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা গেছে, যোগ্যতা অর্জন করার পরেও এমপিও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় ২ হাজারের বেশি স্কুল, কলেজ, কারিগরি ও মাদরাসা পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছে। সেসব আবেদন পুনরায় মাউশি থেকে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

universel cardiac hospital

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন এমপিওভুক্তির তালিকায় নানা ধরনের ভুলক্রটি উঠে আসছে। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানকেও এ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এক স্তরের এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করলেও অন্য স্তরের তালিকায় যুক্ত করার মতো অসংঙ্গতি ধরা পড়ছে। সে কারণে তালিকা করা হলেও সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এ সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বেসরকারি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে (স্কুল-কলেজ) এমপিওভুক্ত করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ১০ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়।

সে অনুযায়ী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতায় ৪ হাজার ৬২১টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৪ হাজার ৭২৯টি আবেদন পাওয়া যায়। এরপর সব মানদণ্ডে ১ হাজার ৯৪১টি প্রতিষ্ঠান যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। এর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৩০টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১০৬৩টি (৬ষ্ঠ-১০ম ১০৩টি, ৯ম-১০ম ৯৬০টি), উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৩১টি, কলেজ (একাদশ-দ্বাদশ) ৯৯টি এবং ডিগ্রি কলেজ ১৮টি।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় কারিগরিতে ২ হাজার ৫৪৪ এবং মাদরাসায় ১ হাজার ৩৫৯টিসহ মোট ৩ হাজার ৯০৩টি আবেদন পাওয়া যায়। এর মধ্যে কারিগরিতে ২৯৫ ও মাদরাসায় ৩৫৩টিসহ মোট ৬৪৮টি প্রতিষ্ঠান যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। আর কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নীতিমালার ৩৬ ধারা এবং মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নীতিমালার ২২ ধারা প্রয়োগ করে ১৭ প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় ৬৬৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।

জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, নতুন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হলেও এখনো শিক্ষক-কর্মচারীদের এ সুবিধার আওতায় আনা হয়নি। প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার পর শিক্ষক-কর্মচারীদের এ সুবিধার আওতায় আনতে আরও কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হয়। তালিকা প্রকাশের পর সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএম কোড দেওয়া হচ্ছে। এরপর শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছে আবেদন কার্যক্রম শুরু করা হবে। প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে তাদের এ সুবিধার আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, প্রকাশিত তালিকায় বিভিন্ন ধরনের ভুলভ্রান্তি ধরা পড়ছে। সেসব নতুন করে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তার উপর যারা আবেদন করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি তারা পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছে। সেসব আবেদন রিভিউ করা হচ্ছে। এ কার্যক্রম শেষে শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন কার্যক্রম শুরু করা হবে।

শেয়ার করুন