‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে শৃংখলিত করা হয়েছিল’

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ও পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবের সভাপতি নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে শৃঙখলিত করা হয়েছিল। এটি ছিল আদর্শকে হত্যার ষড়যন্ত্র। এখনো নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় রাজপথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান চীফ হুইপ।

১৫আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সংসদ ভবনস্থ এলডি হলে একাদশ জাতীয় সংসদের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাব সদস্যদের পক্ষ থেকে আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গসহ শাহাদাত বরণকারী সকলের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম এমপি’র সঞ্চালনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি ও শামসুল হক টুকু এমপি বক্তব্য রাখেন।

সংসদ সচিবালয়ের পেশ ইমাম আবু রায়হান অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন।

নূর-ই-আলম চৌধুরী আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-কে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। কোভিড পরবর্তী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময় দেশের চলমান উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এই অগ্রযাত্রায় সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ১৫ আগস্ট সবচেয়ে নির্মম একটি দিন। আমরা যারা বয়সে বুঝদার ছিলাম তাদের জন্য একটি দুঃসহ স্মৃতির দিনও বটে। বাঙালির মহত্তম পুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেদিন সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, তাকে যখন হত্যা করা হয়, আমরা তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম এবং সম্ভবত হত্যাকাণ্ডের ঘন্টা দুয়েক আগে আমাদের সাথে শেখ কামালের সর্বশেষ কথা হয়। তিনি ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিলেন। ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা ছিল, আমরা তাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য রাতভর প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম কিন্তু শেষ রাতে আমাদের বন্ধুদের মধ্য থেকে একজন বাহির থেকে এসে যে সংবাদটি দিয়েছিলেন সেটি কোনোভাবেই সুখকর ছিল না।

তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে আমরা কেউ মিছিল করতে পারিনি। কারণ আমাদের মাথার ওপরে যে ছাত্রনেতারা ছিলেন, তারা অন্য একটি ভূমিকা পালন করছিলেন। তাছাড়া আওয়ামী লীগের কিছু সংখ্যক নেতা বাদে সবাই খন্দকার মোশতাকের সহযোগীর ভূমিকায় ছিল।

শেয়ার করুন