বিশ্বখ্যাত লেখক সালমান রুশদির ওপর হামলাকারীকে স্বাগত জানিয়েছে ইরানের একটি সংবাদমাধ্যম। আজ শনিবার ইরানের অতি রক্ষণশীল সংবাদমাধ্যম ‘কায়হান’ হামলাকারীকে স্বাগত জানায়। খবর চ্যানেল নিউজ এশিয়ার।
যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম হাদি মাতার। ২৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউ জার্সির ফেয়ারভিউয়ের বাসিন্দা। ১৯৮৯ সালে সালমান রুশদির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছিল ইরান।
গতকাল শুক্রবার নিউইয়র্ক রাজ্যের এক অনুষ্ঠানে রুশদির ওপর হামলা হয়। তিনি এখন পেনসিলভানিয়ার এরিতে হাসপাতালের ভেন্টিলেটরে রয়েছেন। কথা বলতে পারছেন না তিনি এবং তাঁকে একটি চোখ হারাতে হতে পারে।
ইরানের ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সাহসী ও কর্ম সচেতন ওই যুবককে অভিনন্দন যিনি নিউ ইয়র্কে সালমান রুশদির ওপর হামলা করেছেন। আসুন তার হাত চুম্বন করি, যিনি ছুরি দিয়ে ঈশ্বরের শত্রুর ঘাড় ছিঁড়েছেন।’ ইরানের সংবাদমাধ্যমে রুশদিকে ‘ধর্মত্যাগী’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
যদিও ইরানের কর্তৃপক্ষ এখনো এএ বিষয়ে অনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। ৭৫ বছর বয়সি রুশদি ১৯৮১ সালে তাঁর দ্বিতীয় বই ‘মিডনাইট চিলড্রেন’ প্রকাশের পর আলোচনায় আসেন। যা ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায় এবং এ বই তাঁকে এনে দেয় বুকার পুরষ্কার।
কিন্তু ১৯৮৮ সালে ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশ হলেই হুমকির মধ্যে পড়ে তাঁর জীবন। তাঁকে হত্যার জন্য ফতোয়া জারি করে ইরান। তবে ১৯৯৮ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ খাতামি ব্রিটেনকে নিশ্চয়তা দিয়েছিল যে, তারা এ ফতোয়া কার্যকর করবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানের মঞ্চে হামলার শিকার হন সালমান রুশদি। খুবই কম সময়ের মধ্যে তাঁকে বেশ কয়েকবার আঘাত করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।