রুশদির হামলাকারী হাদি সম্পর্কে যে তথ্য জানা গেল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বুকারজয়ী ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদিকে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে হাদি মাতার নামের এক সন্দেহভাজন তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। বয়স ২৪ বছর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে হাদি মাতার সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাদি মাতারের তৎপরতা পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে বলা হয়, এই তরুণ কট্টরপন্থী শিয়াদের প্রতি সংবেদনশীল। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) নীতিমালার প্রতিও সহানুভূতিশীল তিনি।

universel cardiac hospital

আইআরজিসি ও হাদি মাতারের মধ্যে সরাসরি কোনো সংযোগ না থাকলেও তদন্তকারীরা হাদি মাতারের একটি সেলফোনের ম্যাসেজিং অ্যাপে ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলাইমানির ছবি খুঁজে পেয়েছেন। ২০২০ সালে হত্যার শিকার হন কাসেম সোলাইমানি।

পুলিশের ধারণা, হাদি মাতার একাই হামলা চালিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ অবশ্য এখনো বিভিন্ন বিষয়ে তল্লাশি চালানোর অনুমতির অপেক্ষায় আছে। ঘটনাস্থলে একটি ব্যাকপ্যাক শনাক্ত হয়েছে। সেখানে ইলেকট্রনিক ডিভাইসও ছিল।

হাদি মাতার নিউ জার্সির ফেয়ারভিউ এলাকার বাসিন্দা। তার জাতীয়তা কী, অতীতে তার অপরাধের কোনো রেকর্ড আছে কি না, তাও জানার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শিটোকোয়া ইনস্টিটিউটের মঞ্চে সালমান রুশদির ভাষণ শুরুর আগমুহূর্তে তাঁর ওপর হামলা হয়। মার্কিন একটি বার্তা সংস্থার প্রতিবেদকের বরাতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সালমান রুশদিকে ছুরি দিয়ে ১০ থেকে ১৫ বার আঘাত করা হয়েছে।

তাঁর এক কর্মকর্তার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশদির শরীরে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তিনি ভেন্টিলেশনে (কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার প্রক্রিয়া) আছেন। কথা বলতে পারছেন না। অ্যান্ড্রু ওয়াইলি নামের সালমান রুশদির ওই কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে বলেছেন, সালমান রুশদি একটি চোখ হারাতে পারেন।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রুশদি ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ১৯৮১ সালে তাঁর দ্বিতীয় গ্রন্থ ‘মিডনাইট’স চিলড্রেন’–এর জন্য বুকার পুরস্কার জেতেন তিনি। তবে ১৯৮৮ সালে তাঁর চতুর্থ বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশের পর থেকে সালমান রুশদি হত্যার হুমকি পেয়ে আসছিলেন।

বইটি প্রকাশের এক বছর পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি সালমান রুশদির মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেন। সেই সঙ্গে তাঁর মাথার দাম হিসেবে ৩ মিলিয়ন (৩০ লাখ) ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন