সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ডকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
সুইস ব্যাংকে অর্থ জমা রাখার বিষয়ে দেশটির সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকার নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য চায়নি- রাষ্ট্রদূতের এই বক্তব্যের পর হাইকোর্ট গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছিলেন।
রোববার (১৪ আগস্ট) দুদক হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকার সুইস ব্যাংকে অর্থ জমার বিষয়ে মোট ৬৭ জনের তথ্য চেয়েছে বলে জানানো হয়। তবে তথ্য পাওয়া গেছে একজনের। মোট তিনবার তথ্য চাইলেও একবার সাড়া দেয় দেশটি।
গত ১০ আগস্ট ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বলেন, ‘সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার বিষয়ে বাংলাদেশ নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি। সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিরা কত টাকা জমা রেখেছে, ওই তথ্য প্রতি বছর সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক দিয়ে থাকে। ওই অর্থ অবৈধ পথে আয় করা হয়েছে কিনা, এটি আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’
তথ্য পেতে হলে কী করতে হবে, সে সম্পর্কে তারা সরকারকে জানিয়েছেন বলে জানান নাথালি চুয়ার্ড। তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট কোনো তথ্যের জন্য আমাদের কাছে অনুরোধ করা হয়নি।’
দুই পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে এ ধরনের তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব বলে জানান তিনি।
তার এসব বক্তব্যের পরদিন ব্যাংকে ১১ আগস্ট অর্থ জমা রাখার বিষয়ে দেশটির সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকার নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য চেয়েছে কিনা তা জানতে চান হাইকোর্ট। রোববারের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং রাষ্ট্রপক্ষকে তা জানাতে বলেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন আদালত।
হাইকোর্ট বলেছেন, বিচারপতিরা সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পড়েছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে প্রকাশিত সংবাদের কপি জমা দিতে বলা হয়েছে।