ম্যাচ রিপোর্টটা ইংরেজিতে ‘Dimitrievski Stole the show’— লিখলে দারুণ এক হেডিং দেওয়া যেত। রবার্ট লেভানডফস্কি, রাফিনিয়া, উসমান দেম্বেলে, আনসু ফাতি, গাভি, পেদ্রিদের ছাপিয়ে রায়ো ভায়েকানোর গোলরক্ষক স্তোলে দিমিত্রিভস্কিই যে শেষ পর্যন্ত নায়ক হলেন। অবশ্য সব কৃতিত্ব দিমিত্রিভস্কিকে দিলে বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক–আন্দ্রে টের স্টেগেনের মন খারাপ হতে পারে। জার্মান গোলরক্ষক বলতে পারেন, আমি না থাকলে বার্সেলোনা কি একটি পয়েন্টও পেত!
টের স্টেগেন সেটা বলতেই পারেন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বাঁ দিক থেকে ঢুকে পড়া ভায়েকানো উইঙ্গার আলভারো গার্সিয়ার খুব কাছ থেকে নেওয়া শটটি যে তিনিই ঠেকিয়েছেন। তাতে গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যাওয়াতেই যে শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে একটি পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার নুতন মৌসুমটা শুরু করতে পেরেছে বার্সেলোনা। রায়ো ভায়েকানোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে জাভি হার্নান্দেজের দল। ম্যাচের যোগ করা সময়ে লাল কার্ড দেখেছেন বার্সা অধিনায়ক সের্হিও বুসকেতস।
গত মৌসুমে এই ভায়েকানোর কাছেই লিগে দুবার হেরেছিল বার্সেলোনা। নিজেদের ইতিহাসে সেবারই প্রথম এক মৌসুমে বার্সেলোনাকে দুবার হারিয়েছিল ভায়েকানো।
সেই ভায়েকানো আজ ক্যাম্প ন্যু থেকে একটি পয়েন্ট নিয়ে ফিরল মেসিডোনিয়ান গোলরক্ষক দিমিত্রিভস্কির সৌজন্যে। বার্সাকে চারবার গোলবঞ্চিত করেছেন ২৯ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক।
২১ মিনিটে লা লিগা অভিষেকে একটি অ্যাসিস্ট প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন রবার্ট লেভানডফস্কি। সাবেক বায়ার্ন তারকার পাস থেকে বল পেয়েছিলেন উসমান দেম্বেলে। তাঁর নিচু শট ফিরিয়ে দেন দিমিত্রিভস্কি। ১৪ মিনিট পর আবারও দেম্বেলেকে হতাশ করেন ভায়েকানো গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময় ভায়েকানোর রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রাখা বার্সেলোনা আসল কাজটিই করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই গল্প। ৬৫ থেকে ৬৯—এই চার মিনিটে দুবার চীনের প্রাচীর হয়ে বার্সেলোনাকে গোলবঞ্চিত করেন দিমিত্রিভস্কি। আনসু ফাতির শট ফেরানোর পর সের্হিও বুসকেতসের বুলেট গতির শটও ফিরিয়ে দেন উত্তর মেসিডোনিয়ার হয়ে ৫৬টি ম্যাচ খেলা দিমিত্রিভস্কি।
বার্সা অবশ্য দুবার ভায়েকানোর জালে বল পাঠাতে পেরেছিল। তবে দুবারই অফসাইডের কারণে বাতিল হয় তা। ভায়েকানোও অবশ্য যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে বার্সার জালে বল পাঠিয়েছিল। সেই গোলও বাতিল অফসাইডে।
এপ্রিলের পর আগস্ট। চার মাসের মধ্যে দুবার ক্যাম্প ন্যুতে গিয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ফেরা ভায়েকানো নিশ্চিত ওই গোল বাতিল নিয়ে আফসোস করছে না।