রাজধানী ঢাকার উত্তরার জসিম উদ্দীন রোডে নির্মাণাধীন বিআরটি ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকারে থাকা শিশুসহ পাঁচজন নিহতের ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
সোমবার (১৫ আগস্ট) রাতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন দুর্ঘটনায় ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আরবান ট্রান্সপোর্ট অনুবিভাগ) নীলিমা আখতারকে প্রধান করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে একদিনের মধ্যে প্রাথমিক ও দুদিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে সোমবার বিকেল ৪ টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি মোর্শেদ আলম গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গাড়িতে থাকা হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১) নামের দুইজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন রুবেল (৫০), ঝর্ণা (২৮), জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। নিহত আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি। আহত দুজন হলেন হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মো. মহসিন জানান, বিকেলে আড়ংয়ের শো-রুমের সামনে বিআরটি প্রকল্পের এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডার ক্রেন দিয়ে সরানোর সময় তা একটি প্রাইভেট কারের ওপরে পড়ে। প্রাইভেটকারে থাকা শিশুসহ পাঁচজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আহত স্বজনরা জানান, শরিয়তপুর সদরের ঢালী বাজার এলাকার বাসিন্দা ও আহত হৃদয়ের বাবা মো. রুবেল (বর্তমান ঠিকানা- কাওলা) গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। গত শনিবার হৃদয়-রিয়ামনির বিয়ে হয়েছে। আজ কাওলায় হৃদয়দের বাড়িতে ছিল বউভাতের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শেষে নিজেই গাড়ি চালিয়ে তাদের আশুলিয়ার খেজুরবাগানে রিয়াদের বাসায় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুর্ঘটনা ঘটে।