‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সমগ্র বাংলাদেশ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আজ থেকে ৪৭ বছর আগে এই দিনে যা ঘটেছিল তারপর আমাদের মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছিল না, আমরা হতভম্ব হয়েছিলাম, সমগ্র বাংলাদেশ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। ঐসময় একাত্তরের বিরোধী শক্তিরাই উৎসব করতে চেয়েছিল।

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি তারাই নৌকার বিরুদ্ধে কথা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় এসে প্রথম বয়ষ্ক ভাতা চালু করে। এখন বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, মাতৃদুগ্ধ ভাতাসহ মোট ৯ টি ভাতা চালু রয়েছে।

তিনি বলেন, বয়স্ক ভাতা দেয়ার ফলে পরিবারের বৃদ্ধরা শক্তিশালী হয়েছে। এখন আর ছেলের বউ তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেয়ার ধৃষ্টতা দেখায় না। আমাদের সরকার গ্রামে গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছে। সেখানে প্রায় ৩২ রকমের ঔষুধ বিনামূল্যে দেয়া হয়।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বর্তমানে আমরা ৭৪% শিক্ষিত আর পাকিস্তান আমলে ছিলাম ৩৭%। গড় আয়ু তখন ৩৯ -৪০ এখন ৭৩-৭৪ বছর। এই দেশটা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছে বিধায় তা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের সময় পৃথিবী প্রায় অন্ধকারে চলে গিয়ে ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে মরেনি।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যাতায়াত প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা উন্নতি করছি। আমাদের স্বার্থ যেহেতু শেখ হাসিনা দেখেন তাঁর পক্ষেই আমাদের থাকা উচিত।

দ্রব্য মূলের দাম প্রসঙ্গ টেনে মোকতাদির চৌধুরী আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ড, চীন, রাশিয়াসহ সারা বিশ্বে দ্রব্যের দাম বেড়ে গেছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে দ্রব্য ব্যবহারে আমাদের সংযমী হতে হবে।

তিনি বলেন, একসময় এদেশে ১ টাকায় ৮ মন চাল পাওয়া যেত কিন্তু তারপরও কেউ চাল কিনতে পারতো না। দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও আমারা ক্রয় করতে পারছি। আপনারা ধৈর্য্য ধরুন জননেত্রী শেখ হাসিনা এগুলোর দাম সহনীয় মাত্রায় নিয়ে আসবেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রায় ১২ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করে। বিএনপির আমলে একটি মোবাইলের দাম ছিল দেড় লক্ষ টাকা আর আমাদের সময়ে ৮ শত টাকার কম মূল্যেও মোবাইল পাওয়া যায়।

শোক সভা শেষে ৪০০ জন দুস্থদের মাঝে ১৫ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।

শেয়ার করুন