ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান গত ১৩ বছরে দফায় দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে বেতন-ভাতাসহ কী কী সুবিধা পেয়েছেন, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ওয়াসা বোর্ডকে এ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ নির্দেশ দেন।
এর পাশাপাশি সেবাদানে ব্যর্থতার পরও ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানকে অপসারণে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে, তাও জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। যতোদিন পর্যন্ত তাকে অপসারণ করা না হবে, ততোদিন ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী তার বেতন নির্ধারণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ক্যাবের আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন গত ৩১ জুলাই এই রিট আবেদন করেন। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ূয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৩ বছর ওয়াসা বোর্ড বিভিন্ন রেজুলেশনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বেতন-ভাতা, উৎসব ভাতা এবং টিএ-ডিএসহ অন্যান্য যেসব সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে তার হিসাব আগামী ৬০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে বিভাগে দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
বিভিন্ন সময় আলোচিত এবং সমালোচিত হয়েছেন তাকসিম এ খান। ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে রয়েছেন। প্রথম নিয়োগের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ছয়বার তার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি প্রতিমাসে বেতন ভাতা বাবদ ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা নিচ্ছেন।