স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউনির্ভাসিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া) আলোচনা সভা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ আগস্ট (মঙ্গলবার) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ড. ফারুক আহম্মদ উল্লা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (গ্রেড-১) প্রফেসর ফাহিমা খাতুন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি এখতেশামুল বারী তানজিল এবং দাতাসদস্য মোঃ আলমগীর মিয়াসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্বনামধন্য কলেজের অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ, বিভিন্ন সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ফ্যাকাল্টি মেম্বার।
সভার শুরুতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের দ্বারা শোকাবহ আগস্ট নিয়ে প্রকাশিত একটি দেওয়ালিকার উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উক্ত দেওয়ালিকাটির উন্মোচন করেন।
স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ শাহ আলম।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি প্রতিটি শিক্ষার্থীকে মুজিব আদর্শে উজ্জীবিত হওয়ার আহ্বান জানান এবং শোককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে চলার দিক নির্দেশনা দেন।
সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে রচনা এবং কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিজয়ীরা হলেন সিএসসি বিভাগের ব্যাচ ২১২-এর মরিয়ম বেগম (রচনা, ১ম স্থান), সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ব্যাচ ২০১-এর মাহিন (রচনা, ২য় স্থান), ইংরেজি বিভাগের ব্যাচ ২০১-এর জুয়েল রানা (রচনা, ৩য় স্থান), ইংরেজি বিভাগের ব্যাচ ২০২-এর নরউত্তম সূত্রধর ( কুইজ, ১ম স্থান), CSE বিভাগের ব্যাচ ২২২-এর মহসীন মিয়া (কুইজ, ২য় স্থান), ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ব্যাচ ২০১-এর বনলতা আক্তার ( কুইজ,৩য় স্থান)।