প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ ফেডারেশন সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেছেন, অন্ধকার জগতের অপশক্তিরা মাঝেমধ্যে সাপের মতো বিষ বাষ্প ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। মানুষ যখন রুখে দাঁড়ায়, তখন অন্ধকার জগতের সাপেরা আবার গর্তে ফিরে যায়।
আজ শনিবার বিকেল ৫টার দিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, জঙ্গিবাদী শক্তি, মৌলবাদী শক্তি জনগণ, মুক্তিকামী রাজনীতি দলের সাংবাদিক সমাজের প্রতিরোধেরমুখে ওই সাপেরা আবারও গর্তে চলে যায়। তবে তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। আর যেন তারা বেরিয়ে আসতে না পারে।
তিনি জাতির জনকের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চেতনায় সোনার বাংলা গড়ে তোলার আহবান জানান।
মোকতাদির চৌধুরীর সাহসী নেতৃত্বের প্রশংসা করে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ভালো লাগে যখন এই এলাকার মানুষ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উন্নয়নে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের, অসাম্প্রদায়িক শক্তির সাহসী নেতৃত্বের পুরোধা ব্যক্তি হিসেবে তাঁর (মোকতাদির চৌধুরী) প্রশংসা করেন, তখন আমরাও গর্বিত হই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যখন ১৯৯৬ সালে প্রথম সরকার গঠন করে তখন মোকতাদির চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সচিব হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে নিয়ে নিজের ছাত্র জীবনের স্মৃতিচারণ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্তার ইউসুফ শানু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মো. শাহীন প্রমুখ।