ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ সুপার লিগে নিজেদের শেষ সিরিজটি জিততে পারলো না ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজের পাশাপাশি মূল্যবান দশটি পয়েন্টও জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। যার ফলে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ টিকিট।
বার্বাডোজে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে কাইল মায়ার্সের সেঞ্চুরি, নিকোলাস পুরানের ঝড় ও শাই হোপের ফিফটিতে ৩০১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করেছিল স্বাগতিকরা। জবাবে মার্টিন গাপটিল, ডেভন কনওয়ে, টম লাথাম ও ড্যারেল মিচেলের ফিফটিতে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭ বল আগেই ম্যাচ জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড।
এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ সুপার লিগের সব খেলা। নিজেদের নির্ধারিত ২৪ ম্যাচে মাত্র নয় জয়ে ৯০ পয়েন্ট পেয়েছে ক্যারিবীয়রা। পয়েন্ট টেবিলে তাদের বর্তমান অবস্থান সপ্তম। তবে তাদের নিচে থাকা ছয় দলের মধ্যে পাঁচ দলের সামনেই রয়েছে ৯০’র বেশি পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ।
সুপার লিগ থেকে শীর্ষ আট দল পাবে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার টিকিট। তাই এখন অন্যদের ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে ক্যারিবীয়দের। অন্যদিকে ১২ ম্যাচ খেলে ১১ জয়ে ১১০ পয়েন্ট নিয়ে অনেকটাই নিরাপদে রয়েছে কিউইরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ৩০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ফিন অ্যালেনের উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। তবে স্বীকৃত ব্যাটারদের বাকিরা দায়িত্ব নিলে জয়ের পথ সুগম হয়। গাপটিল ৫৭, কনওয়ে ৫৬, লাথাম ৬৯ ও মিচেল খেলেন ৬৩ রানের ইনিংস।
শেষ দিকে জিমি নিশাম নেমে মাত্র ১১ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় তরান্বিত করেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে ম্যাচের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লাথামের হাতে। দলের স্পিনিং অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনার ৫১ রানের সঙ্গে ৪ উইকেট নিয়ে জেতেন সিরিজসেরার পুরস্কার।
এর আগে ক্যারিবীয়দের হয়ে সেঞ্চুরি হাঁকান মায়ার্স। তার ব্যাট থেকে আসে ১১০ বলে ১০৫ রান। আরেক ওপেনার হোপ ৫১ রান করতে খেলেন ১০০টি বল। অধিনায়ক পুরান মাত্র ৫৫ বলে করেন ৯১ রান। শেষ দিকে আলজারি জোসেফ ৬ বলে ২০ রান নিয়ে দলকে তিনশ পার করান।