ইউক্রেনকে নতুন করে আরও ৩০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা আসতে পারে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। ছয় মাস ধরে সংঘাত এখনও চলছে। এরই মধ্যে কিয়েভকে একের পর এক সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। খবর এএফপির।
ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি একজন মার্কিন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াশিংটন সতর্ক করেছে যে, ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছে মস্কো। অপরদিকে রুশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই সামরিক সহায়তার আওতায় অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সরঞ্জাম মস্কোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিয়েভকে সহায়তা করবে। মাত্র কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনকে আরও প্রায় ৭৮ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসে বিশ্ব নেতারা কিয়েভের প্রতি পুনরায় সমর্থন ব্যক্ত করার সময়ই যুক্তরাষ্ট্র বড় অংকের এই সামরিক সহায়তা ঘোষণা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যেভাবে ক্রিমিয়া দখল করা হয়েছে সেই একই প্রচেষ্টায় ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চল দখলের বিষয়ে মঙ্গলবার রাশিয়াকে সতর্ক করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজ।
এক ভিডিও বার্তায় বরিস জনসন বলেন, আমাদের সবার একসঙ্গে প্রতিরোধ করার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই। অপরদিকে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ দুদা সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কে আর ফিরবে না তার দেশ।
এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, দীর্ঘ সময়ের জন্য ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের কোনো দুর্বলতা থাকতে পারে না, কোনো আপোষের মনোভাব থাকবে না কারণ এটি আমাদের স্বাধীনতার বিষয়। এটি প্রত্যেকের জন্য এবং বিশ্বের সর্বত্র শান্তির বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট উভয়ের পক্ষ থেকেই দেশটির স্বাধীনতা দিবসে রাশিয়ার পরিকল্পিত হামলার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ফলে ইউক্রেনজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। এ বছর ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসে বড় ধরনের সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসে দেশটির নাগরিকরা নতুন করে স্বাধীন হওয়ার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।