দলের টানা ব্যর্থতায় বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর গদি টেকানো নিয়েই সংশয় ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি দলের কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেলেও বাকি দুই ফরম্যাটের নাটাই তার হাতেই রেখে দেয় বিসিবি। বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগতই জানিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান এ কোচ। তবে সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে বোর্ড নিয়ে রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছেন ডমিঙ্গো। যেখানে তিনি বলেছেন, বিসিবির কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপের কারণে টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে ঠিকমতো কাজ করতে পারেননি তিনি।
ডমিঙ্গো বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টি দলের ক্রিকেটাররা খারাপ পারফরম্যান্স করলে তাদের চিৎকার-চেঁচামেচি করার জন্য বোর্ডের তরফ থেকে বলে দেয়া হতো। যা তার কোচিং দর্শনে একেবারেই নেই। এছাড়া বোর্ডের বিভিন্ন কর্তার মন্তব্যের কারণে তিনি নিজের কাজটা ঠিকমতো করতে পারতেন না বলেও জানান ডমিঙ্গো।
তিনি আরও বলেন, আসলে চিৎকার-চেঁচামেচি করে খুব একটা লাভ হয় না। যখন ওরা ভুল করে, তখন বাজেভাবে সমালোচনা করলে ক্রিকেটারদের সেরাটা পাওয়া যাবে না। আমি এটাই করতে চাইনি। তাঁর এই কথাগুলো হয়তো পছন্দ হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। এ ব্যাপারে ডমিঙ্গোর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস।
আজ নিজের কার্যালয়ে জালাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ডমিঙ্গোর এমন আচরণ কাম্য নয়। আমি সভাপতিকে (নাজমুল হাসান) জানিয়েছি। তাঁকে নোটিশ দেওয়া উচিত। তবে এটা শোকজ নোটিশ না। তাঁকে বিষয়গুলো ক্লিয়ার করতে হবে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। তারপর তাঁর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’
ক্রিকেটারদের চাপে রাখা হয়, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জালাল ইউনুস, ‘আমি কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে সিরিজ চলাকালীন কোনো কথা বলি না। সে আমাকে না অন্য কাউকে উদ্দেশ করে বলেছে, সেটা আগে জেনে নিই৷ তবে এটা ইতিবাচক কিছু নয়। তাকে এসব পরিষ্কার করতে হবে। যে ভাষা ডমিঙ্গো ব্যবহার করেছে ‘‘ধমক দেওয়া হয়’’, এটা আপত্তিকর।’
এদিকে ডমিঙ্গো ছুটি পেয়ে গত পরশু রাতেই দেশে ফিরে গেছেন। আগামী অক্টোবরে আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সিরিজ দিয়ে তাঁর কাজে ফেরার কথা। সিরিজটি হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে টেস্ট দলের বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যানকে নিয়ে তিনি কাজ করবেন।