সীমান্তের কাছে সন্তানের সামনে ধর্ষণের অভিযোগ, বিএসএফের ২ সদস্য আটক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করা এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই বিএসএফ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (২৭ আগস্ট) আধাসামরিক সংস্থার এক সিনিয়র কর্মকর্তা তথ্যটি জানিয়েছেন। খবর এনডিটিভির।

ওই কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার গভীর রাতে বিএসএফের সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর এবং কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বনগাঁও জেলা পুলিশ সুপার তরুণ চক্রবর্তী জানান, অভিযুক্তদের বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালতের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা সীমান্ত ফাঁড়ির কাছে ২৬ আগস্ট ভোরে ঘটে। সে সময় ওই এলাকায় দায়িত্বরত ছিলেন ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের এই দুই সীমান্তরক্ষী। তাদের দেখে ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকারী এক মহিলা ও তার পঁচ বছর বয়সী মেয়ে সীমান্ত ঘেঁষা পটল ক্ষেতে লুকিয়ে পড়ে। বিএসএফ সদস্যরা মহিলাকে ক্ষেতের থেকে তুলে এনে তার পাঁচ বছরের শিশু মেয়ের সামনেই সংঘবদ্ধভাবে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এএসআই তাকে এই অপরাধমূলক কাজ করতে সাহায্য করেছিল।

মহিলা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।

সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে জানার পর, আমরা দুজনকে আটক করেছি এবং তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। উভয়কেই বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনাটি শাসক টিএমসি এবং বিজেপির মধ্যে কথার যুদ্ধের সূত্রপাত করে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দল বারবার আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে বিএসএফ-এর এখতিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটার বাড়ানোর কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

টিএমসি এক টুইটবার্তায় জানায়, বিজেপির দুঃশাসনে আমাদের দেশ মহিলাদের জন্য ক্রমশ অনিরাপদ হয়ে উঠছে! জনাব অমিত শাহ, আপনার নজরদারিতে বিএসএফ অফিসার এবং জওয়ান এক মহিলাকে ধর্ষণ করেছে। যদি সে তার আওয়াজ তোলে তাহলে তার পরিণতি খারাপর হবে বলে হুমকি দিয়েছিল। ঘটনাটি সত্যিই ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর একটি উজ্জ্বল উদাহরণ!

বিজেপি বলেছে, এই ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারণে তৃণমূলের পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করা উচিত নয়।

বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘টিএমসি-র এই ধরনের মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। এই ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারণে আপনি সমগ্র বাহিনীকে অপমান করতে পারবেন না। কেউ অপরাধ করলে আইন তার গতিপথ নেবে।

শেয়ার করুন