দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করায় খুশি চা-শ্রমিকরা। টানা ১৮ দিন চলা আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ রোববার সাপ্তাহিক বন্ধের দিনও মজুরি পরিশোধের শর্তে কাজে যোগ দেবেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল। তিনি বলেন, আমরা মা জননেত্রী শেখ হাসিনার অপেক্ষায় ছিলাম। তিনি আমাদের ন্যায্য দাবি পূরণ করেছেন। তাই আমরা অনেক খুশি। একই সাথে আমাদের হবিগঞ্জের ২৪টি চা বাগান শ্রমিকরা কাজে যোগদান করবে।
এর আগে ২২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে ১২০ টাকা থেকে ২০ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা দৈনিক মজুরি নির্ধারণ করা হয়। দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে কর্মবিরতিসহ নানা কর্মসূচিতে টানা ১৯ দিন ধরে আন্দোলন করেন চা বাগানের শ্রমিকরা। বারবার মালিকপক্ষ-শ্রমিক আর প্রশাসনের বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
গত ৯ আগস্ট থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। ১৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার আশ্বাসে সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে শ্রমিকদের একাংশ আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজে ফেরে। আরেক অংশ আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিলেন। চা-শ্রমিকদের টানা ধর্মঘটে সারাদেশের বাগান থেকে চা-পাতা উত্তোলন, কারখানায় প্রক্রিয়াজাত ও উৎপাদন বন্ধ থাকে। এতে স্থবির হয়ে পড়ে দেশের চা শিল্প।
শনিবার চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আনুপাতিক হারে তাদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও বাড়ানো হবে। সব মিলিয়ে দৈনিক মজুরি হবে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
শনিবার বিকালে গণভবনে চা-শ্রমিকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চা বাগান মালিকপক্ষের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী চা-শ্রমিকদের রোববার থেকে কাজে ফেরার আহ্বান জানান।
শনিবার সন্ধ্যায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। তিনি বলেন, সব আলোচনার পর যেটি হয়েছে- সেটি হলো শ্রমিকদের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করে দিয়েছেন ১৭০ টাকা।
চা বাগান মালিকপক্ষের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন টি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহ আলম।