ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা দেশটির বিভিন্ন জায়গায় অঘোষিতভাবে তদন্তকাজ বন্ধ না করলে ২০১৫ সালে সম্পাদিত পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করা অর্থহীন হয়ে পড়বে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার তিনি এ কথা বলেন। খবর এএফপির। ঐতিহাসিক এ চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে যুক্তরাষ্ট্র যখন পর্যালোচনা চালাচ্ছে, তখন ইব্রাহিম রাইসির এমন মন্তব্য এল। তিনটি অঘোষিত এলাকায় আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) তদন্তকাজে তেহরান সহযোগিতা করবে বলে বিশ্বাস ছিল যুক্তরাষ্ট্রের।
তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে রাইসি সাংবাদিকদের বলেন, আইএইএর সঙ্গে সমঝোতাপ্রক্রিয়ায় নিরাপত্তার ইস্যুটি গুরুত্বপূর্ণ। ঐকমত্যের জন্য নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর সমাধান জরুরি। তিনি বলেন, নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর সমাধান না হলে চুক্তি নিয়ে আলোচনা অর্থহীন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভেডান্ট প্যাটেল স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার বলেন, পারমাণবিক চুক্তি ও অঘোষিত এলাকায় তদন্তের মধ্যে কোনো শর্ত থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন না।
গত জুনে আইএইএর বোর্ড অব গভর্নররা একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেন। ওই প্রস্তাবে বলা হয়, ইরান তিনটি এলাকায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কাজ নিয়ে যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। গত সপ্তাহে আইএইএর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইরানের যথাযথ ব্যাখ্যা ছাড়া এসব এলাকায় তদন্তকাজ বন্ধের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তারা ইরানের কাছ থেকে এ বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য কোনো ব্যাখ্যা পাননি।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের ছয় শক্তিধর দেশ—ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক চুক্তি হয়। ওই চুক্তিতে ইরানে আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা বলা হয়। তবে শর্ত হিসেবে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে কিছু সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।