এশিয়া কাপে ‘বি’ গ্রুপের লো-স্কোরিং ম্যাচে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েও আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে হারল বাংলাদেশ। তাতেই সবার আগে সুপার ফোরে জায়গা নিশ্চিত করল আফগানরা। এদিন শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রান তুলে টাইগাররা। জবাবে ৭ উইকেট ও ৯ বল হাতে রেখেই জয় পেয়ে যায় মোহাম্মদ নবি বাহিনী।
রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরু থেকেই রান তুলতে পারছিলেন না আফগানিস্তানের ব্যাটাররা। নবি-রশিদদের চাপে রেখে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ফেরান সাকিব। আউট হওয়ার আগে ১১ রান করেন গুরবাজ। এরপর ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি পরের দুই ব্যাটারও। ২৩ রানে জাজাই ও ৮ রানে আউট হন নবি।
এ সময় মনে হচ্ছিলো জয়ের পথেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাত্র ৩৩ বলে ৬৯ রানের অপ্রতিরোধ্য জুটি গড়েন ইব্রাহিম জাদরান ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। তাতেই জয় পেয়ে যায় আফগানরা। ৪১ বলে ৪২ রানে ইব্রাহিম ও মাত্র ১৭ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন নাজিবুল্লাহ। অসাধারণ এক ইনিংস খেলায় ম্যাচসেরা হন তিনি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মুজিব উর রহমানের ঘূর্ণিতে পাওয়ার প্লেতেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ দল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ৬ রানে বোল্ড আউট হন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে এবার বিজয়কে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মুজিব। আউট হওয়ার আগে ১৪ বলে ৫ রান করেন বিজয়।
শুরুতেই চাপে পড়া দলের হাল ধরার চেষ্টা চালাতে গিয়েও পারেননি দলনেতা সাকিব আল হাসান। আউট হয়েছেন ১১ রানে। আর আউট হওয়ার আগে মুশফিক করেছেন ১ রান। আফিফের ব্যাট থেকে এসেছে ১২ রান।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ-মোসাদ্দেক মিলে ৩৬ রান তুললে একশ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর রশিদ খানের করা বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৭ বলে ২৫ রান করেন রিয়াদ। ১২ বলে ১৪ রানে রান আউট হন শেখ মেহেদি হাসান।
এদিকে শেষ পর্যন্ত খেলে যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মাত্র ৩১ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন এই ডানহাতি ব্যাটার। এদিকে কোনো বল খেলার সুযোগ হয়নি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের।