বিদেশ ভ্রমণ থেকে ফিরে একজন বাংলাদেশি ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত নিজের কাছে রাখতে পারেন। কারও কাছে এর চেয়ে বেশি ডলার থাকলে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা ব্যাংক বা মানিচেঞ্জারের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেউ বিক্রি না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। কারও কাছে ১০ হাজার ডলারের বেশি থাকলে তা বেআইনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুধবার (৩১ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নিবাসী বাংলাদেশি ব্যক্তি বিদেশ থেকে সঙ্গে আনা অনধিক ১০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমমূল্যমানের বৈদেশিক মুদ্রা নিজের কাছে বা অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট হিসেবে জমা রাখতে পারেন। পরবর্তী বিদেশ যাওয়ার সময় ওই বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে নিয়েও যেতে পারেন। কেউ ১০ হাজার ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আনলে দেশে আসার এক মাসের মধ্যে ব্যাংক বা মানিচেঞ্জারের কাছে বিক্রি বা রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট হিসেবে জমা রাখা বাধ্যতামূলক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপরোক্ত প্রাধিকার বহির্ভূত বৈদেশিক মুদ্রা ধারণ করা ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্টের আওতায় দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রাধিকারভুক্ত নয় এমন বৈদেশিক মুদ্রা নিবাসী বাংলাদেশির কাছে থাকলে তা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাংক বা লাইসেন্সধারী মানিচেঞ্জারের কাছে বিক্রি করার অনুরোধ করা যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের পর অননুমোদিত বৈদেশিক মুদ্রা নিবাসী ব্যক্তির নিকট পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, খোলাবাজার থেকে ডলার কিনে সঙ্গে রাখা বেআইনি। তবে প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে আসার সময় কিংবা বিদেশ ভ্রমণ থেকে ফিরে ডলার রাখার সুযোগ রয়েছে। এখন দেখা গেল কেউ হয়তো সভা, সেমিনার বা অন্য কোনো কারণে বাইরে যাওয়ার সময় দুই হাজার ডলার সঙ্গে নিয়েছিলেন। দেশে আসার সময় হয়তো সঙ্গে করে ১৫ হাজার ডলার নিয়ে এলেন। এক্ষেত্রে ১০ হাজার ডলার তার কাছে দীর্ঘদিন রাখতে পারবেন। এর বেশি অংশ এক মাসের মধ্যে জমা না দিলে সেটা হবে অবৈধ।