মিডিয়া কাভারেজ পেতে বিএনপি আন্দোলনে ‘সিচুয়েশন’ তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমি পুলিশকে বলেছি কিছু না বলার জন্য এটা ঠিক। কিন্তু পুলিশ তো আগ বাড়িয়ে কিছু করেনি। পুলিশ যদি আক্রান্ত হয় তার নিজেকে বাঁচানোর অধিকার আছে। না কি সেটা নেই? পুলিশ আক্রান্ত হলেও তার নিজেকে রক্ষার কোনো অধিকার থাকবে না?
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বিএনপির ওপর হামলার তথ্য তুলে ধরে সরকারের কড়া সমালোচনা করেন।
এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি তো আন্দোলন করার কথা বলেছি। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল-আন্দোলন করেন কেউ কিছু বলবে না। যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে সেখানে তো কেউ কিছু বলছে না।
সংসদ নেতা বলেন, রুমিন ফারহানা বলে গেলেন খুব খারাপ না কি অবস্থা। ভোলার ঘটনা নিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করে গেলেন, প্রতিবাদ করে গেলেন। বাংলাদেশে কি হতো? ’৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যা করা হলো, খুনিদের আরও উৎসাহিত করা হলো। বিচারের হাত থেকে রেহাই দেওয়া হলো। বিরোধীদল আন্দোলন করবে, আমি বলেছি পুলিশকে, যে কিছু না বলার জন্য এটা ঠিক। কিন্তু পুলিশ তো আগ বাড়িয়ে কিছু করেনি। যে কোনো মানুষ যদি আক্রান্ত হয় তার নিজেকে বাঁচাবার অধিকার আছে।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের কথায় মনে হয় তারা বোমা ছুড়বে, লাঠি মারবে, ঢিল মারবে, গুলি করবে সব করবে তাদের কিছু বলা যাবে না। আমি তো আন্দোলন করার কথা বলেছি, মিছিল করেন, আন্দোলন করেন। শান্তিপূর্ণভাবে করলে কেউ কিছু বলবে না। যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে সেখানে তো কেউ কিছু বলছে না। কিন্তু এরা তো মাঠে নেমে আগে কোথায় কাকে আক্রমণ করবে, কীভাবে একটা সিচুয়েশন তৈরি করবে। হ্যাঁ এটা করে, একটা কারণ আছে, তা হলো এমনি মিছিল করলে তো মিডিয়া কাভারেজ পাবে না। মিডিয়ায় কাভারেজ পাওয়ার জন্যই তারা এমন ঘটনা ঘটাবে।
তিনি বলেন, এখন গুম, খুন হত্যা নিয়ে কথা হয়। বাংলাদেশে ’৭৫ এর পর কী ঘটেছে। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বরিশালের আগৈলঝাড়ায় গৌরনদী থেকে ২৫ হাজার লোক টুঙ্গিপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছে।
জ্বালানি তেলের দামের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজেল বেশি দামে কিনে অল্প মূল্যে দিচ্ছি। প্রত্যেকটা খাতে আমরা দিচ্ছি, কারণ কৃষক উৎপাদনটা বাড়াবে। দুই কোটি কৃষক উপকারভোগী কার্ড পায়। অর্থনীতির প্রত্যেকটা খাতে ভর্তুকি দিচ্ছি।