বড় স্বপ্ন নিয়ে এশিয়া কাপে আসা হংকংকে দুঃস্বপ্নের এক রাত উপহার দিলো পাকিস্তান। যে ম্যাচটি জিতলে সুপার ফোরে যাওয়ার সুযোগ ছিল বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা দলটির, সেই ম্যাচে তাদের রীতিমত বিধ্বস্ত করলো বাবর আজমের দল।
শাদাব খান-মোহাম্মদ নেওয়াজদের তোপে ১০.৪ ওভারেই ৩৮ রানে গুটিয়ে গেলো হংকং। ১৫৫ রানের বিশাল জয়ে চতুর্থ দল হিসেবে সুপার ফোরে নাম লেখালো পাকিস্তান।
পাকিস্তানি বোলারদের সামলে হংকংয়ের কোনো ব্যাটার দুই অংক ছুঁতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৮ রান ওপেনার ও অধিনায়ক নাজাকাত খান।
শাদাব খান ৮ রানে ৩টি, নেওয়াজ ৫ রানে ৩টি, নাসিম শাহ ৭ রানে ২টি আর শাহনেয়াজ দাহানি ৭ রানে নেন একটি উইকেট।
এর আগে প্রথম ১০ ওভারে পাকিস্তানের বোর্ডে ছিল মাত্র ৬৪। এই পাকিস্তানেরই ২০ ওভার শেষে রান দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১৯৩ রান। অর্থাৎ শেষ ১০ ওভারে ১২৯ রান যোগ করে বাবর আজমের দল। এর মধ্যে শেষ ওভারেই নেয় ২৯ রান।
অথচ শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (শুক্রবার) হংকংয়ের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ধাক্কা খেয়েছিল পাকিস্তান। এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থতার পরিচয় দেন অধিনায়ক বাবর আজম।
হংকং স্পিনার এহসান খানকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাবর (৮ বলে ৯)। দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর রানের গতি কম থাকলেও দ্বিতীয় উইকেটে দলকে অনেকটা এগিয়ে নেন ফাখর জামান আর মোহাম্মদ রিজওয়ান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে পাকিস্তান তোলে ১ উইকেটে ৪০ রান।
উইকেটে সেট হয়ে ঝড় তুলেন রিজওয়ান আর ফাখর। ৮১ বলে তারা যোগ করেন ১১৬ রান। অবশেষে ১৭তম ওভারে তাদের জুটিটি ভাঙেন হংকংয়ের অফস্পিনার এহসান খান। ৪১ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৫৩ করে সাজঘরের পথ ধরেন ফাখর।
তবে রিজওয়ান ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন। ৫৭ বলে ৬ চার আর ১ ছক্কায় ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার।
শেষ ওভারে হংকং পেসার আইজাজ খানের ওপর তাণ্ডব চালান খুশদিল শাহ। প্রথম দুই বলে এক রানও নিতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটার। শেষ ৪ বলে তিনি হাঁকান ৪টি ছক্কা।
মাঝে একটি ওয়াইডে বাইসহ ৫ রান হওয়ায় শেষ ওভার থেকে মোট ২৯ রান তুলে নেয় পাকিস্তান। ১৫ বলে ৫ ছক্কায় ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন খুশদিল।