তাইওয়ানের কাছে ১.১ বিলিয়ন ডলারের (১১০ কোটি ডলার) অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ খবরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে চীন বলছে, হয় চুক্তি প্রত্যাহার করো, না হয় মুখোমুখি হও ‘পাল্টা পদক্ষেপের’। তবে অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
এমনিতেই ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনা চরমে। এমন পরিস্থিতিতে পেন্টাগনের এ অস্ত্র বিক্রির অনুমোদনের ঘোষণা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।
পেন্টাগনের ডিফেন্স সিকিউরিটি করপোরেশন অ্যাজেন্সি শুক্রবার জানায়, এ প্যাকেজের মধ্যে ৬০টি অ্যান্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্র, ১০০টি এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি নজরদারি রাডারের জন্য সহযোগিতামূলক বিষয় রয়েছে।
অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, এ প্যাকেজ ‘তাইওয়ানের নিরাপত্তার জন্য জরুরি ছিল’।
‘প্রস্তাবিত এ অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন এবং তার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বজায় রাখার জন্য একটি নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ’, যোগ করেন তিনি।
এদিকে চীন শুক্রবার এ অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রকে ‘তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহারের’ আহ্বান জানিয়েছে।
ওয়াশিংটনে থাকা চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পঙইউ বলেন, চীন প্রতিক্রিয়া দেখাবে। তিনি বলেন, পরিস্থিতির আলোকে চীন যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয় পাল্টা পদক্ষেপ নেবে।
তবে অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলছে, চীনের সাম্প্রতিক ‘উসকানিমূলক’ কর্মকাণ্ড গুরুতর হুমকি তৈরি করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি চীনের পক্ষ থেকে আসা সামরিক চাপ মোকাবিলায় সাহায্য করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মার্কিন স্পিকার তাইপে সফরের প্রতিক্রিয়া তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া চালায় চীন। চীন এ দ্বীপকে নিজেদের অংশ বলেই মনে করে। যদিও তাইওয়ান একটি স্বশাসিত পৃথক দ্বীপরাষ্ট্র।