গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে ফরিদপুরের আদালতে দায়ের করা মামলায় এ পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ফরিদপুর জেলা জজ আদালতে মামলাটির আইনজীবী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত বুধবার (৩১ আগস্ট) ফরিদপুর ৩ নম্বর আমলী আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদুল ইসলাম এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
‘মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতাউর রহমান কালু বাদী হয়ে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার সি আর নম্বর ৩৩৪/২১।
আইনজীবী মো. কামাল উদ্দিন বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগের পদ-পদবি ও দলের মনোনীত মেয়র হয়েও মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। যা খুবই দুঃখজনক ও ন্যাক্কারজনক। যা শাস্তিযোগ্য অপরাধও।
‘মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও মামলার বাদী আতাউর রহমান কালু বলেন, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বর্তমান বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের একটি মন্তব্যের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়। ওই অডিওতে মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। ওই ঘটনায় জাহাঙ্গীরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় আওয়ামী লীগ, তিনি তার জবাবও দিয়েছিলেন। তবে কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় সাতটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় তিনি আগাম জামিনও পান। আমি তার গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানাই।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, শুক্রবার রাত পর্যন্ত বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির কোনো আদেশ পাওয়া যায়নি। আদেশ পাওয়ার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে।