ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক শুরু হয়েছে। চার দিনের সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের স্থানীয় সময় সাড়ে ১১টার পর হায়দরাবাদ হাউসে দুই দেশের সরকারপ্রধান বৈঠকে বসেন।
দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেন। এ সময় সাংবাদিকদের সামনে কয়েক মিনিট কথা বলেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে ফলপ্রসু আলোচনা হতে পারে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি বৈঠকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হবে এবং আমাদের মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন করা এবং আমাদের জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা- যা আমরা করতে সক্ষম হবো।
লাল গালিচা সংবর্ধনা শেষে প্রধানমন্ত্রী রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। মহাত্মা গান্ধীর প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা সেখানে রাখা স্মারক বইয়ে সই করেন। এরপর মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।
চার দিনের সফরে গতকাল সোমবার নয়াদিল্লিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের প্রথম দিনেই কর্মব্যস্ত দিন কাটে সরকারপ্রধানের।
সফরের তৃতীয় দিন বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী তার সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করবেন। পরে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দেখা করার কথা রয়েছে।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সভায় এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের বংশধরদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদানের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ফেরার আগে রাজস্থানের খাজা গরিব নওয়াজ দরগাহ শরিফ (আজমির শরিফ দরগাহ) জিয়ারত করবেন।