করোনার সংক্রমণ রোধে গত ২৫ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের (প্রাথমিকের শিক্ষার্থী) টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ইতোমধ্যে এই কার্যক্রমে ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৪ জন শিশু প্রথম ডোজের মাধ্যমে টিকার আওতায় এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে টিকা নিয়েছেন ৭৭ হাজার ৫৪১ শিশু।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৩ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ২২৫ জন। এছাড়া, দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন ১২ কোটি ১৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৪ জন মানুষ। আর বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৪ কোটি ৪০ লাখ ৩৩ হাজার ১২৩ জন।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার) সারাদেশে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৮২ হাজার ৮৬ জনকে, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২২ হাজার ১৭৪ জনকে। এছাড়াও বুস্টার ডোজ টিকা পেয়েছেন ৮৬ হাজার ৫৩১ জন। এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা টিকার নিবন্ধন শুরু হয় গত বছরের ২৭ জানুয়ারি। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। দেশে এখন ৫ বছর বয়সী যেকোনো মানুষ টিকা নিতে পারছেন।