গণতন্ত্রের মানসপুত্র, অবিভক্ত বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১৩০তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম হয় তার।
কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারক জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। মা খুজাস্তা আখতার বানু ছিলেন নামকরা উর্দু সাহিত্যিক, আর দাদা স্যার আবদুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ।
১৯২০ সালে তিনি বেগম নেয়াজ ফাতেমাকে বিয়ে করেন। বেগম নেয়াজ ফাতেমা ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার আবদুর রহিমের কন্যা।
দেশ ভাগের আগে ভারত ও পাকিস্তানের পাশাপাশি অখণ্ড স্বাধীন বাংলা নামে একটি ‘ডমিনিয়ন রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
১৯২৪ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের স্বরাজ পার্টিতে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়।
১৯৩৭ সালে ফজলুল হক কোয়ালিশন মন্ত্রিসভার শ্রম ও বাণিজ্যমন্ত্রী, ১৯৪৩-৪৫ সালে খাজা নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রিসভায় বেসামরিক সরবরাহ মন্ত্রী, ১৯৪৬-৪৭ সালে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তান আমলে ১৯৫৪-৫৫ সালে মোহাম্মদ আলীর মন্ত্রিসভার আইনমন্ত্রী এবং ১৯৫৬-৫৭ সালে ১৩ মাস পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫৮ সালে ইস্কান্দার মীর্জা পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারির পর ১৯৫৯ সালের আগস্টে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৬৩ সালে স্বাস্থ্যগত কারণে বিদেশে যান। লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অবস্থানকালে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর ৭১ বছর বয়সে মারা যান বাংলার এই শ্রেষ্ঠ সন্তান।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্মদিন উপলক্ষে আজ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।