দেশের ৬১ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহমুদ হাসান রিপনকে মনোনীত করা হয়।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনে গণভবনে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় জেলা পরিষদের দলীয় প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে নামের তালিকা করা হয়। বিকালে চারটা থেকে শুরু হয়ে মনোনয়ন বোর্ডের সভা চলে রাত পর্যন্ত।
বৈঠকের শুরুতে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের সংসদীয়, স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা গণভবনে যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আমির হোসেন আমু, শেখ সেলিম, কাজী জাফরুল্লাহ, কর্নেল ফারুক খান, ড. আব্দুল রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, মাহবুব উল আলম হানিফ।
গত ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়ে চলে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। জেলা পরিষদের মনোনয়নের পাশাপাশি গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্রও বিতরণ করা হয়।
৬১টি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদের বিপরীতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন পাঁচ শ জন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা
ঢাকা বিভাগ: টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ফারুক, কিশোরগঞ্জে মো. জিল্লুর রহমান, মানিকগঞ্জে গোলাম মহীউদ্দীন, মুন্সীগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন, ঢাকায় মো. মাহবুবুর রহমান, গাজীপুরে মো. মোতাহার হোসেন, নরসিংদীতে আবদুল মতিন ভুঞা, নারায়ণগঞ্জে চন্দন শীল, রাজবাড়ীতে এ, কে, এম, শফিকুল মোরশেদ, ফরিদপুরে মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, গোপালগঞ্জে মুন্সী মো. আতিয়ার রহমান, মাদারীপুরে মুনির চৌধুরী, শরীয়তপুরে ছাবেদুর রহমান।
রংপুর বিভাগ: পঞ্চগড়ে মো. আবু তোয়বুর রহমান, ঠাকুরগাঁওয়ে সাদেক কুরাইশী, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নীলফামারীতে মো. মমতাজুল হক, লালমনিরহাটে মো. মতিয়ার রহমান, রংপুরে ইলিয়াস আহমেদ, কুড়িগ্রামে মো. জাফর আলী, গাইবান্ধায় মো. আবু বকর সিদ্দিক।
রাজশাহী বিভাগ: জয়পুরহাটে খাজা সামছুল আলম, বগুড়ায় মো. মকবুল হোসেন, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মো. রুহুল আমিন, রাজশাহীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, নাটোরে মো সাজেদুর রহমান খান, সিরাজগঞ্জে মো. আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, পাবনায় আ.স.ম. আব্দুর রহিম পাকন।
খুলনা বিভাগ: মেহেরেপুর মো. আব্দুস সালাম, কুষ্টিয়ায় মো. সদরউদ্দিন খান, চুয়াডাঙ্গায় মাহফুজুর রহমান (মনজু), যশোরে সাইফুজ্জামান পিকুল, মাগুরায় পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু, নড়াইলে সুবাস চন্দ্র বোস, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, খুলনায় শেখ হারুনুর রশীদ, সাতক্ষীরা…(নাম ঘোষণা হয়নি), ঝিনাইদহে কনক কান্তি দাস।
বরিশাল বিভাগ: বরগুনায় মো. জাহাঙ্গীর কবির, পটুয়াখালীতে মো. খলিলুর রহমান, ভোলায় আব্দুল মুমিন টুলু, বরিশালে এ কে এম জাহাঙ্গীর, ঝালকাঠিতে খান সাইফুল্লাহ পনির, পিরোজপুরে সালমা রহমান।
ময়মনসিংহ বিভাগ: জামালপুরে মো. বাকি বিল্লাহ, শেরপুরে চন্দন কুমার পাল, ময়মনসিংহে ইউসুফ খান পাঠান, নেত্রকোণায় অসিত কুমার সরকার।
সিলেট বিভাগ: সুনামগঞ্জে মো. খায়রুল কবির রুমেন, সিলেট নাসিরউদ্দিন খান, মৌলভীবাজারে মিছবাহুর রহমান, হবিগঞ্জে ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী।
চট্টগ্রাম বিভাগ: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল মামুন সরকার, কুমিল্লায় মফিজুর রহমান বাবলু, চাঁদপুরে ইউসুফ গাজী, ফেনীতে খায়রুল বশর মজুমদার, নোয়াখালীতে আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, লক্ষ্মীপুরে মো. শাহজাহান, চট্টগ্রামে এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, কক্সবাজারে মোস্তাক আহমদ চৌধুরী।
গড়ে প্রতিটি জেলায় আটজনের অধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরম সংগ্রহ করেন। এছাড়া গাইবান্ধা-৫ আসনের মনোনয়ন সংগ্রহ করেন ১০ জন। মনোনয়ন প্রত্যাশীর দৌড়ে ছিলেন-সাবেক মন্ত্রী, এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ জেলা-উপজেলার দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের প্রবীণ নেতারা। স্থানীয় জনপ্রিয়তা ও এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছেন। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ১২ অক্টোবর ইভিএম পদ্ধতিতে গাইবান্ধার উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।