এশিয়া-সেরার মুকুট পুনরুদ্ধারে আজ মাঠে নামছে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক

মাত্র দুই দিন আগে এই এশিয়া কাপেই মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। তাতে ম্যাচ জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। পাঁচ উইকেটের সেই হারের রেশ তো নিশ্চয়ই এখনো তাজাই থাকার কথা পাকিস্তান দলে। আজ ফাইনাল ম্যাচে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তারা কি প্রতিশোধ নিতে পারবে, নাকি টানা জয় তুলে নিয়ে এশিয়া-সেরার মুকুট আবার মাথায় তুলবে শ্রীলঙ্কা?

সেই মীমাংসা হয়ে যাবে আজ রাতে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচে মাঠে নামছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। যে দলই জিতুক, দীর্ঘদিন পর এশিয়া-সেরার মুকুট পুনরুদ্ধারের গৌরবসিক্ত হবে তারা।

universel cardiac hospital

উপমহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার শিরোপার দেখা পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। আবার ফাইনাল খেলেছে যেকোনো দলের চেয়ে বেশি। এশিয়া কাপের প্রথম তিন আসরেই ফাইনাল খেলেছে লঙ্কানরা। প্রথম ও তৃতীয়বার ভারতের কাছে হেরে যায় তারা। ১৯৮৬ সালের এশিয়া কাপে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি। এরপর ১৯৯৭, ২০০৪, ২০০৮ ও ২০১৪ সালেও ট্রফি জেতে তারা।

এদিকে ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার চেয়ে খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপে ফাইনাল খেলেছে মোট চারবার। এর মধ্যে দুবার শিরোপা জিতেছে, অন্য দুবার হেরেছে দলটি। ২০০০ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েই প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। এরপর ২০১২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে আসে দ্বিতীয় ট্রফি।

শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচে এখন পর্যন্ত মোট তিনবার দেখা হয়েছে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার। এতে সফলতার হারের পাল্লা ভারী শ্রীলঙ্কার। ফাইনালে পরস্পরের মোকাবিলায় দুবার জিতেছে লঙ্কানরা। অন্যদিকে একবার জিততে পেরেছে পাকিস্তান।

এশিয়া কাপে পিছিয়ে থাকলেও শক্তিমত্তার বিচারে এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি প্রকাশিত টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে লঙ্কানদের চেয়ে ঢের এগিয়ে বাবর আজমরা। ২৬২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে র্যা ঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান, আর ২৩৪ রেটিং নিয়ে আটে দাসুন শানাকা বাহিনী।

দুই দলের সর্বশেষ লড়াই এই এশিয়া কাপেই। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে শুক্রবার পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারায় শ্রীলঙ্কা। তাই আজ ফাইনালের লড়াইয়ে দারুণ এক মাচ উপভোগ করতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্ব, এমনটা বলা যেতেই পারে।

শেয়ার করুন