সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক একবার বদলি হলে তিনি পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে আর বদলির সুযোগ পাবেন না। যেসব বিদ্যালয়ে চারজন বা তার চেয়ে কম শিক্ষক রয়েছেন কিংবা শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১: ৪০-এর বেশি, সেসব বিদ্যালয় থেকে সাধারণভাবে কোনো শিক্ষক বদলি করা যাবে না।
এমন আরও অনেক শর্ত যুক্ত করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলির নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ জন্য এই নির্দেশিকার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা-২০২২’। নির্দেশিকায় বিস্তারিতভাবে বদলির যোগ্যতা ও শর্তগুলো দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে নির্দেশিকাটি প্রকাশ করা হয়।
এর আগে বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছিল, ১৫ সেপ্টেম্বর সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইনে বদলি শুরু হবে। নতুন পদ্ধতিতে বদলির কাজ হবে পুরোপুরি অনলাইনে। নির্ধারিত একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্ধারিত আইডি (পরিচয় নম্বর) ব্যবহার করে শিক্ষকদের বদলির জন্য আবেদন করতে হবে। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ওই শিক্ষক বদলির যোগ্য কি না বা কোন বিদ্যালয়ে বদলি হবেন, তা নির্ধারিত হবে। তার আগে কী কী শর্তে বদলি হওয়া যাবে, তার নির্দেশিকা প্রকাশ করা হলো।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বদলি বন্ধ রয়েছে। তাই এ বছর বদলির কাজটি হচ্ছে চলতি সেপ্টেম্বরে। তবে সাধারণভাবে বদলির কাজ জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবছর জানুয়ারি ও জুলাই মাসে বদলি করা যাবে।