আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ‘মত ও পথ’ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
আজ সোমবার সকালে এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, পঁচাত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার প্রতিবাদে বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সোচ্চার হয়েছিলেন। সেসময় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিতে জনগণকে সংগঠিত করা এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে তাঁর সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার।
মোকতাদির চৌধুরী আরও বলেন, ১৯৮১ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরে আসেন, তখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সাজেদা আপার নেতৃত্বে কাজ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। তিনি ২০০১ সালের দিকে আমাদের চিনাইরে আশ্রয়ণ প্রকল্প উদ্বোধন করতে এসেছিলেন এবং আশ্রয়ণ প্রকল্প উদ্বোধন শেষে চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি কলেজে আয়োজিত একটি ফাংশনে যোগদান করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর সংবাদটি আমাকে এবং আমার এলাকার জনগণকে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৬৯-১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন সাজেদা চৌধুরী।
১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার বাবার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ ও মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।