কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফোর লেন নির্মাণসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৬টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৭৪৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হবে ৫ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ২ হাজার ৮১০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। আর এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘কুমিল্লা (ময়নামতি)-ব্রাহ্মণবাড়িয়া (ধরখার) জাতীয় মহাসড়ককে (এন-১০২) চার লেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পসহ মোট ৬টি প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চার লেন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৭ হাজার ১৮৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৪ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা এবং ভারতীয় ঋণ থেকে ২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুলাই থেকে জুন ২০২৬ সালে বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। প্রকল্পটি কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বুড়িচং, দেবিদ্বার, মুরাদনগর, ব্রাহ্মণপাড়া, কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হবে।
অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে-
‘বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর জাতীয় মহাসড়কের (এন-৮০৯) বরিশাল (চরকাউয়া) থেকে ভোলা (ইলিশা ফেনিঘাট) হয়ে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত)’।
‘চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার থেকে শাহ্-আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’।
‘ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (ইনমাস) মিটফোর্ড, কুমিল্লা, ফরিদপুর, বরিশাল ও বগুড়া-এর সক্ষমতা বৃদ্ধি’।
‘মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ’।
‘আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ (বাংলাদেশ অংশ)-শীর্ষক প্রকল্পের মেয়াদ ৪র্থ বার বৃদ্ধি’।