চট্টগ্রাম শহরে মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাত জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন—পিবিআই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় চার্জশিট জমা দেন। চার্জশিটটি নথিতে সংযুক্ত করে শিগগির আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
চার্জশিটে প্রধান আসামি বাবুল আক্তার। অন্য ছয় আসামি হলেন—মো. কামরুল ইসলাম সিকদার মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, খাইরুল ইসলাম কালু ও শাহাজাহান মিয়া। তাদের মধ্যে কামরুল ইসলাম সিকদার মুসা ও খাইরুল ইসলাম কালু পলাতক।
আসামিদের মধ্যে কারাগারে আছেন বাবুল আক্তার, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার। আর এহতেশামুল হক ভোলা জামিনে আছেন।
চার্জশিটে চারজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন—মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু, নুরুন্নবী, রাশেদ ও আবু নাসের গুইন্যা। তাদের মধ্যে রাশেদ ও নুরুন্নবী ঘটনার পরের সপ্তাহে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে বন্দরনগর চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের সময় পদোন্নতি পেয়ে সদরদপ্তরে যোগ দিতে ঢাকায় ছিলেন তখনকার পুলিশ সুপার বাবুল।
মিতু হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন বাবুল আক্তার। মিতু হত্যার কয়েক মাস পর পুলিশের চাকরিও ছাড়তে হয় তাকে।
মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে বাবুলের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ার কথা জানায় পিবিআই। ২০২১ সালের মে মাসে ওই মামলায় পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। এরপরই জামাতা বাবুলকে আসামি করে নতুন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন।
মামলার বাদী থেকে আসামি হয়ে গ্রেপ্তার বাবুলকে দেখিয়ে হেফাজতে নেয় পিবিআই। পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বাবুল আক্তার এখন ফেনী কারাগারে বন্দি।