ব্রিটেনের রাজা চার্লস এবং রাজপরিবারের সদস্যরা বাকিংহাম প্রাসাদে প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিনটি গ্রহণ করেছেন। মঙ্গলবার রাতে রানির কফিন স্কটল্যান্ড থেকে সামরিক বিমানে করে লন্ডনে নিয়ে আসার পর বাকিংহাম প্রাসাদে পৌঁছায়।
ব্রিটিশ রাজধানীতে রানির কফিন আগমন উপলেক্ষে প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন। এর আগে রাতে রানির কফিন লন্ডনের রাজকীয় বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছায়। সেখানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস কফিনটি গ্রহণ করেন। খবর রয়টার্সের।
রাজকীয় বিমান ঘাঁটি থেকে রাতে আলোকজ্জ্বল শববহরটি নিকটবর্তী বিমানবন্দর থেকে ধীরে ধীরে লন্ডনের ভেতর দিয়ে বাকিংহাম প্রসাদের দিকে এগোতে থাকে। এ সময় পুরো পথজুড়ে জনতা দাঁড়িয়ে ছিল, অনেকে রাস্তায় নেমে আসেন। কেউ কেউ কফিনবাহী গাড়ির দিকে ফুল ছুড়েন। কেউ কেউ আবার নিজেদের গাড়ি নিকটবর্তী কোথাও রেখে দৌঁড়ে এসে রানির শবযাত্রা দেখেন।
শববাহী বহরটি লন্ডনস্থ প্রাসাদে পৌঁছালে সঙ্গে থাকা পুলিশের অশ্বারোহী দল থেমে তাদের মাথা নথ করে প্রয়াত রানিকে শ্রদ্ধা জানায়।
বাকিংহাম প্রাসাদের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, শববাহী বহরটি প্রাসাদে পৌঁছালে রাজা চার্লস তার তিন ভাইবোন, দুই পুত্র উইলিয়াম ও হ্যারি এবং রাজপরিবারের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সদস্যদের নিয়ে কফিন গ্রহণ করার জন্য এগিয়ে আসেন।
গত বৃহস্পতিবার রানি এলিজাবেথ তার অবকাশকালীন বাড়ি স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে ৯৬ বছর বয়সে মারা যান। সেখান থেকেই শেষ যাত্রায় এডিনবরার সেন্ট জাইলস ক্যাথেড্রাল হয়ে তার মরদেহ এখন লন্ডনের বাকিংহামে। রানির মৃত্যুতে যুক্তরাজ্যজুড়ে ১০ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।
আজ বুধবার রানির কফিন বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে নিয়ে যাওয়া হবে পার্লামেন্ট ভবনের কাছে ওয়েস্টমিনস্টার হলে। সেখানে চারদিন রাখা হবে। লাখো মানুষ এ সময় রানিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবে।