একই একাদশ নিয়ে সেই একই ছন্দে-সুরে খেলল বাংলাদেশ। গোলের দেখাও মিলে গেল শুরুতেই। ভুটানের জালে চার বার গোল উৎসব করে বিরতিতে গেল গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।
নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে শুক্রবার মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমি-ফাইনালে লড়ছে দুই দল। ৪-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করেছে বাংলাদেশ।
১ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডেই গোল পেয়ে যায় বাংলাদেশ। মনিকা চাকমার থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষককে কাটিয়ে নিখুঁত কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন সিরাজ জাহান স্বপ্না।
পঞ্চম মিনিটে মারিয়া মান্দার শট সরাসরি গোলরক্ষকের গ্লাভসে জমে যায়। একটু পরই পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে বক্সের বাইরে এসে ভুটানের আক্রমণ ভেস্তে দেন গোলরক্ষক রুপনা চাকমা।
দ্বাদশ মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা স্বপ্না প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের চার্জে পড়ে যান। বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসা নেওয়ার পর খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়েন এই ফরোয়ার্ড। বদলি নামেন ঋতুপর্ণা চাকমা।
পাঁচ মিনিট পর গোলরক্ষককে কাটিয়ে দূরূহ কোণ থেকে দারুণ গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাবিনা। মাঝমাঠের একটু উপর থেকে নিখুঁত ক্রসে এ গোলের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন মারিয়া মান্দা।
২৪তম মিনিটে মনিকার ক্রসে কৃষ্ণা রানী সরকার পা ছুঁইয়েছিলেন, কিন্তু বল যায় পোস্টের বাইরে। ভালো সুযোগ নষ্টের হতাশায় মাথায় হাত উঠে যায় এই ফরোয়ার্ডের।
বৃষ্টিভেজা ভারি মাঠে বল পায়ে রেখে পাসিং ফুটবলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে ভুটান। কিন্ত কখনও আখিঁ খাতুন, কখনও শিউলি তাদের আক্রমণের তাল কেটে দেন।
৩০তম মিনিটে মনিকার আড়াআড়ি ক্রসে কৃষ্ণার হেড এক ড্রপ খেয়ে জালে জড়ালে ম্যাচে চালকের আসনে বসে বাংলাদেশ।
পাঁচ মিনিট পর মনিকার থ্রু পাস পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে স্লাইড করলেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি গোলরক্ষক। তিনি স্লাইড করার পর ঋতুপর্ণার পায়ে লেগে বল তার সামনেই পড়ে। বাঁ পায়ের নিচু শটে ফাঁকা পোস্টে বল জালে জাড়ান এই ফরোয়ার্ড।