ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ক্ষুধার ঝুঁকিতে সাড়ে ৩৪ কোটি মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পথশিশুর খাদ্যগ্রহণ / ক্ষুধা সূচক
ফাইল ছবি

বিশ্ব এক ‘অভূতপূর্ব মাত্রার বৈশ্বিক জরুরি পরিস্থিতির’ মুখে পড়েছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচির প্রধান। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের সাড়ে ৩৪ কোটি মানুষ ক্ষুধার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং সাত কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত থাকার আরও কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিসলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, ৮২টি দেশের ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন। এটি করোনাভাইরাস মহামারি আঘাত হানার আগে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখে থাকা মানুষের সংখ্যার তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

তিনি বলেন, এটি ‘অবিশ্বাস্যভাবে উদ্বেগজনক’ যে, ৪৫টি দেশের পাঁচ কোটি মানুষ তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে এবং ‘দুর্ভিক্ষের দুয়ারে কড়া নাড়ছে’।

ক্রমবর্ধমান সংঘাত, অর্থনীতিতে মহামারির প্রভাব, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করে ডব্লিউএফপি প্রধান বলেন, আগে যা ক্ষুধার ঢেউ ছিল, তা এখন সুনামি।

তিনি জানান, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে খাদ্য, জ্বালানি ও সারের ক্রমবর্ধমান খরচ সাত কোটি মানুষকে অনাহারের কাছাকাছি নিয়ে গেছে।

বিসলে বলেন, গত জুলাই মাসে রাশিয়ার অবরোধ করা কৃষ্ণসাগরের তিনটি বন্দর থেকে ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানির অনুমতি দেওয়া এবং বিশ্ববাজারে রুশ সার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও এ বছর একাধিক দুর্ভিক্ষের ‘বাস্তব ও বিপজ্জনক ঝুঁকি’ রয়েছে। আর আমরা যদি ব্যবস্থা না নেই তাহলে বর্তমান খাদ্যমূল্য সংকট ২০২৩ সালেই খাদ্যপ্রাপ্যতা সংকটে পরিণত হতে পারে।

সূত্র: আল জাজিরা

শেয়ার করুন