নেপালকে হারিয়েও গোল ব্যবধানে কপাল পুড়লো বাংলাদেশের!

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ দল। সংগৃহীত ছবি

এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার লক্ষ্য পূরণ হলো না বাংলাদেশের যুবাদের। শেষ ম্যাচ জিতলেও সবমিলিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় খালি হাতেই দেশে ফিরতে হচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ দলকে। বাংলাদেশের গ্রুপ থেকে মূল পর্বের টিকিট পেয়েছে শুধুমাত্র কাতার।

বাহরাইনের মাঠে বি গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। পরে অপেক্ষা ছিল কাতার-বাহরাইন ম্যাচে স্বাগতিকদের পরাজয়। সেটিও হয়েছে, কাতার জয় পেয়েছে ২-০ গোলে। কিন্তু সবমিলিয়ে ঠিকই এগিয়ে রয়েছে বাহরাইন। অবশ্য তারাও পায়নি মূল পর্বের টিকিট।

এশিয়ার দলগুলোকে দশটি ভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে হয়েছে এ বাছাইপর্বের খেলা। আয়োজক দেশ উজবেকিস্তান, দশ গ্রুপের দশটি চ্যাম্পিয়ন দল ও দশ গ্রুপের সেরা পাচ রানার্সআপ দল- মোট এই ১৬ দলকে নিয়ে আগামী বছরের মার্চে হবে অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের মূল আসর।

বি গ্রুপের সব ম্যাচ শেষে চার ম্যাচে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে সরাসরি টিকিট পেয়েছে কাতার। বাংলাদেশ ও বাহরাইনের ঝুলিতে রয়েছে সমান ৭ পয়েন্ট। দুই দলই জিতেছে দুইটি করে ম্যাচ, ড্র করেছে নিজেদের মুখোমুখি লড়াইয়ে ও হেরেছে কাতারের কাছে।

এই চার ম্যাচে পাঁচ গোল দিয়ে চারটি হজমও করেছে বাংলাদেশ। ফলে গোল ব্যবধান রয়েছে মাত্র +১। অন্যদিকে আট গোল দিয়ে তিন গোল হজম করায় +৫ গোল ব্যবধান নিয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় হয়েছে বাহরাইন। ফলে তৃতীয় হওয়ায় সেরা অন্য নয় গ্রুপের রানার্সআপ দলগুলোর সঙ্গে কোনো বিবেচনায়ই আসেনি বাংলাদেশ।

এই গ্রুপে রানার্সআপ হয়েও বাহরাইনের কোনো লাভ হয়নি। কেননা দশ গ্রুপের রানার্সআপের মধ্য থেকে সেরা পাঁচ দল বাছাইয়ের বেলায়, একেক গ্রুপে দলসংখ্যা একেকরকম হওয়ায়, যেসব গ্রুপে পাঁচ দল রয়েছে সেই গ্রুপের পঞ্চম দলের বিপক্ষে ম্যাচের ফলাফল বিবেচনায় আনা হয়নি।

বি গ্রুপের পঞ্চম দল নেপালের বিপক্ষে ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছিল বাহরাইন। এই ম্যাচের ফল বিবেচনার বাইরে চলে যাওয়ায় রানার্সআপ দলগুলোর মধ্যে সেরা পাঁচে থাকা হয়নি বাহরাইনের। বরং এ তালিকায় তারা রয়েছে সবার নিচে।

বাছাইপর্বে এখন পর্যন্ত নয়টি গ্রুপের খেলা শেষ হয়েছে। এই নয় গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মূল আসরের টিকিট পেয়েছে সৌদি আরব, কাতার, জাপান, জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ওমান, তাজিকিস্তান ও ইরান।

স্বাগতিক হিসেবে উজবেকিস্তান আগে থেকেই রয়েছে মূল পর্বে। তবে তারাও খেলেছে বাছাইপর্বে। এ গ্রুপে চার ম্যাচের সবকয়টিই জিতেছে উজবেকিস্তান। অবশ্য পয়েন্ট র‍্যাংকিং করার সময় উজবেকিস্তানের ম্যাচগুলো বিবেচনায় রাখা হয়নি। তাই এ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সৌদি আরব।

আর নয় গ্রুপের রানার্সআপ দলগুলো হলো যথাক্রমে ভিয়েতনাম, কিরগিজিস্তান, চীন, সিরিয়া, থাইল্যান্ড, লেবানন, ইয়েমেন, মঙ্গোলিয়া ও বাহরাইন। এদের মধ্যে প্রথম তিনটি দল এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছে মূল পর্বের টিকিট। পরের দুইটি দলের ভাগ্য নির্ভর করছে বাকি থাকা এইচ গ্রুপের খেলা শেষ হওয়ার পর।

আগামী মাসের ১৪ থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে হবে এইচ গ্রুপের সব খেলা। এই গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইরাক, ভারত ও কুয়েত। এই গ্রুপের সেরা দল সরাসরিই পাবে মূল আসরের টিকিট। রানার্স আপ দলকে অন্তত ছয় পয়েন্টের সঙ্গে গোল ব্যবধান রাখতে হবে তিনের বেশি।

শেয়ার করুন