বিশ্ব অর্থনীতি একটি নয় বরং মন্দাসহ চারটি বড় ঝুঁকির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আগামী বছর, এমন সতর্ক বার্তা দিলেন সিঙ্গাপুর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান রবি মেনন। ফলে নীতিনির্ধারকরা দীর্ঘ সময়ের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে থাকবেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
রবি মেননের মতে, এই চারটি ঝুঁকি হলো মন্দা, মধ্য মেয়াদে মুদ্রাস্ফীতির গতিপথ, বাজারের ওপর ভূরাজনীতির প্রভাব ও জলবায়ু ঝুঁকি।
মূল প্রশ্ন হলো মন্দা কতটা গভীর ও দীর্ঘায়িত হবে? সিঙ্গাপুরের মনিটরি অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবি মেনন, প্রাইভেট ইক্যুইটি ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল উত্সাহীদের সুপার রিটার্ন এশিয়া সম্মেলনে এক বক্তৃতায় এসব কথা বলছিলেন।
রবি মেনন আরও বলেন, এটি নির্ভর করছে কতটা উচ্চ ও ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতি হয়। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বাজারের পূর্বাভাসের চেয়ে আরও বেশি ও দীর্ঘ সময়ের জন্য কঠোর হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
সিঙ্গাপুর, বিশ্বব্যাপী অনেক বড় অর্থনীতির মতো মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে। যেখানে একটি শক্ত শ্রম বাজার রয়েছে। যদিও করোনা মহামারির পর শ্রমিক স্বল্পতার কারণে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগছে।
এশিয়ার অর্থনীতির অন্যতম কেন্দ্রস্থল হলো সিঙ্গাপুর। দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নে রয়েছে প্রবাসীদের অসামান্য অবদান। সম্প্রতি দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতির চাপ আরও বেড়েছে।
মুদ্রাস্ফীতি দীর্ঘমেয়াদী হওয়ার লক্ষণ দেখছেন মেনন। সাশ্রয় এবং সস্তা শ্রমের যুগ শেষ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বিশ্ব অর্থনীতি। এর মাঝে গত ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। মস্কোর ঘাড়ে পশ্চিমাদের নানা নিষেধাজ্ঞা।
এ ছাড়া চীনের ‘জিরো কোভিড নীতি, মুদ্রাস্ফীতি ও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বৃদ্ধি। একই সঙ্গে খরা, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ অর্থনীতিকে আরও বিপাকে ফেলছে।
সূত্র: ব্লুমবার্গ