রাশিয়া থেকে আনা অপরিশোধিত জ্বালানি তেল দেশের বর্তমান অবকাঠামো ব্যবহার করে পরিশোধন করা যাবে না। এই তেলের নমুনা পরীক্ষা করে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) দেওয়া প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। নিজস্ব ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার পর তা যাচাই-বাছাই করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে ইআরএলের কারিগরি কমিটি।
আজ মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কাছে জমা দিয়েছে ইআরএল। নমুনা পরীক্ষার ফলাফল ও মতামত জানানো ছাড়াও বেশ কিছু কারিগরি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে ২০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে। বিপিসি ও ইআরএলের উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ মঙ্গলবার রাতে বলেন, ইআরএল বর্তমান অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে রাশিয়ার জ্বালানি তেল পরিশোধন করতে পারবে না বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে। নমুনা পরীক্ষা করে তাদের কারিগরি দল এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। শিগগিরই নমুনা সরবরাহকারী সংস্থাকে এটি জানানো হবে।
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারত, চীনসহ কোনো কোনো দেশ রাশিয়া থেকে কম দামে জ্বালানি তেল কিনছে। গত মে মাসে বাংলাদেশকেও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার প্রস্তাব দেয় রাশিয়া
এর আগে রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশিষ্ট্য দেখেই তা পরিশোধন করা যাবে না বলে ধারণা দিয়েছিলেন ইআরএল ও বিপিসির কর্মকর্তারা। এরপর গত মাসে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেলের নমুনা দেশে আসে। ১ সেপ্টেম্বর এটি ইআরএল পরীক্ষাগারে পৌঁছায়। তেলের নমুনা পরীক্ষার পর কারিগরি দল তা যাচাই–বাছাই করে দেখেছে। কারিগরি কমিটির প্রধান ছিলেন ইআরএলের মহাব্যবস্থাপক রায়হান আহমদ। সদস্যসচিব ছিলেন ব্যবস্থাপক সামিউল ইসলাম।
ইআরএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান বলেন, মঙ্গলবার সকালের দিকে তারা প্রতিবেদনটি বিপিসির কাছে জমা দিয়েছেন। বিপিসির চেয়ারম্যানের পক্ষে প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেন সংস্থাটির মহাব্যবস্থাপক কুদরত-ই-ইলাহী।