শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের তাড়ানোর পাঁয়তারা করছে মিয়ানমার সেনারা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল ও গোলা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ সীমান্তে এসে পড়ছে। এসব ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন। এই নিয়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম কোনারপাড়া নো ম্যান্স ল্যান্ডে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের মাঝে।

হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) তুমব্রু কোনারপাড়া নো ম্যান্স ল্যান্ডে মানববন্ধন করেছেন রোহিঙ্গারা। নিরাপত্তা চেয়ে জাতিসংঘের কাছে চিঠিও দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম শূন্যরেখার রোহিঙ্গা নেতা দীল মোহাম্মদ। তার স্বাক্ষরিত চিঠিটি মেইলের মধ্যমে জাতিসংঘের সদরদফতরে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

universel cardiac hospital

মানববন্ধনে রোহিঙ্গারা বলেন, আমরা চিঠিতে জাতিসংঘকে জানিয়েছি, মিয়ানমার সামরিক জান্তা বাহিনী যেকোনও মুহূর্তে শূন্যরেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণ করতে পারে। এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং দ্রুত প্রত্যাবাসনের দাবি জানানো হয়েছে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে ঘুমধুমে শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সেখান থেকে তাড়ানোর জন্য নানা পাঁয়তারা করে আসছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এখনও হত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শূন্যরেখায় মর্টারশেল ও গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। এতে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু ও পাঁচ জন আহত হয়েছেন। শূন্যরেখায় বর্তমানে সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছে।

দীল মোহাম্মদ জানান, সীমান্তের তুমব্রু জিরো পয়েন্টের অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দারা মর্টারশেল হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করা হয়েছে। তাদের ছোড়া মর্টারশেলে রোহিঙ্গা যুবক ইকবাল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন