ইউক্রেন যুদ্ধে যে জয়লাভ করা যাবে না এটা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। আর এটি স্বীকার করলেই কেবল নিজের ‘সাম্রাজ্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা’ পরিত্যাগ করবেন পুতিন।
মূলত রুশ প্রেসিডেন্টের এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা ইউক্রেনকে ধ্বংসের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া নিজের প্রথম ভাষণে জার্মানির চ্যান্সেলর বলেন, ‘আর এ কারণেই আমরা রাশিয়ার নির্দেশিত কোনো শান্তি মেনে নেব না এবং এই কারণেই ইউক্রেনকে অবশ্যই রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হতে হবে।’
ওলাফ শলৎজ বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুতিনের যুদ্ধ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদ ফিরে এসেছে। তিনি দাবি করেন, সাম্রাজ্যবাদের প্রত্যাবর্তন কেবল ইউরোপের জন্য নয় বরং বিশ্বব্যাপী শান্তি, স্থিতিশীলতা ও শৃঙ্খলার জন্যও বিপর্যয় ডেকে এনেছে। এমন প্রচেষ্টা রুখে দিতে ও দুর্বলদের রক্ষা করতে তিনি জাতিসংঘের কাছে আহ্বান জানান।
জার্মান চ্যান্সেলর প্রশ্ন তোলেন, ‘আমরা কি অসহায়ভাবে দেখবো যে, কেউ কেউ আমাদেরকে এমন একটি বিশ্বব্যবস্থায় ফিরিয়ে নিতে চায় যেখানে যুদ্ধই রাজনীতির একটি সাধারণ মাধ্যম। স্বাধীন দেশগুলোকে অবশ্যই তাদের শক্তিশালী প্রতিবেশী বা ঔপনিবেশিক প্রভুদের সাথে যোগ দিতে হবে এবং সমৃদ্ধি ও মানবাধিকার ভাগ্যবান কয়েকটি দেশের জন্য একটি বিশেষাধিকার?’
তিনি আরও বলেন, ‘অথবা একবিংশ শতাব্দীর বহুমুখী বিশ্বে একটি বহুপাক্ষিক বিশ্ব ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য আমরা একসাথে পরিচালিত হবো? জার্মান এবং ইউরোপীয় হিসাবে আমার উত্তর হলো: আমাদের অবশ্যই এটি (বহুপাক্ষিক বিশ্ব ব্যবস্থা) বজায় রাখার কাজ করতে হবে।’
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে পশ্চিমা মিত্ররা কূটনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধির জন্য রাশিয়ার সাথে প্রতিযোগিতা করছে।
শলৎজ ঘোষণা করেছেন যে, ইউক্রেনের পুনর্গঠনের ওপর আগামী ২৫ অক্টোবর একটি সম্মেলনের আয়োজন করবে জার্মানি। কিয়েভ সরকারকে সে ‘দেশের পুনর্গঠনের জন্য প্রচুর তহবিল’ দিয়ে জার্মানি সাহায্য করবে বলেও শলৎজ ঘোষণা করেছেন।