ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে আরও সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আংশিক সামরিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রিজার্ভ থেকে ইউক্রেনে লাখো সেনা পাঠানো হবে বলে জানান তিনি। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সম্প্রচারিত এক টেলিভিশন ভাষণে পুতিন বলেন, রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। পশ্চিমারা রাশিয়াকে দুর্বল ও ধ্বংস দেখতে চায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। জবাবের জন্য সব অস্ত্র প্রস্তুত আছে বলেও হুঁশিয়ারি দেন পুতিন। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, আংশিক সামরিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রিজার্ভের প্রায় ২০ লাখ শক্তিশালী সামরিক সদস্য রাশিয়া এবং এর অঞ্চলগুলোকে রক্ষা করতে প্রস্তুত। সামরিক অভিজ্ঞতা আছে এমন ৩ লাখ মানুষকে ইউক্রেন অভিযানের লড়াইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। এদিকে পুতিনের এ ঘোষণার পর সমালোচনায় সরব পশ্চিমারা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধে রিজার্ভ থেকে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যায় যে পুতিনের আক্রমণ ব্যর্থ হচ্ছে।
চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা বলেন, ‘এই পদক্ষেপ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার শুরু করা যুদ্ধকে আরও বাড়ানোর একটি প্রচেষ্টা এবং এটি প্রমাণ করে যে রাশিয়াই একমাত্র আগ্রাসী।’ রিজার্ভ থেকে সেনা পাঠানো রাশিয়ার আরেকটি খারাপ ও ভুল পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হ্যাবেক।
নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে সেনা পাঠানো এবং গণভোটের পরিকল্পনাকে ‘আতঙ্কের লক্ষণ’ বলে অভিহিত করেছেন। এর আগে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে ১ লাখ ৩৭ হাজার সদস্য বাড়ানোর এক নির্দেশনায় সই করেন পুতিন। বর্তমানে রুশ সামরিক বাহিনীতে মোট সদস্যসংখ্যা ১০ লাখের বেশি। আর বেসামরিক কর্মী রয়েছেন প্রায় ৯ লাখ।